ভূঁইয়া আশিক : [২] এই প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, দক্ষ জনশক্তি, গবেষণা, জীবন রক্ষাকারী উপকরণ ও দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উপর জোর না দেওয়ায় বাজেট অসম্পূর্ণ [৩] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশগুলোতে মানুষকে পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা জিডিপির ৫ শতাংশ রাখার সুপারিশ করেছে। কিন্তু দেশে বিগত ১২-১৩ বছরের ধারাবাহিকতায় দেখেছি, স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ জিডিপির ১ শতাংশেরও কম। ২০২০-২০২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটেও এর ব্যতিক্রম দেখিনি।
[৪] আমরা ভেবেছিলাম করেছিলাম, ২০২০-২০২১ সালের বাজেটে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে বরাদ্দকৃত অর্থ সুবিন্যাস্ত ও সঠিকভাবে সমর্থযুক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার নির্দেশনা থাকবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা দেখা যায়নি। [৪] স্বাস্থ্যখাতের বড় ব্যাধি হলো অনিয়ম-দুর্নীতি। এটা আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি। করোনাকালেও দেখছি।
[৫] করোনা সংকটে কতোগুলো মৌলিক জায়গা বুঝতে পেরেছি। আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল নেই। সেটা চিকিৎসক, নার্স কিংবা প্যারামেডিকস হোক। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কোনো দিকনির্দেশনাও বাজেটে নেই। আমাদের বায়ো মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল রয়েছে, আইইডিসিআর রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেকিকেল কলেজ বিশ^বিদ্যালয় রয়েছে তারা করোনা সংকটে ন্যূনতম কোনো গবেষণার ছাপ রাখতে পারলো না। গবেষণায় জোর দেওয়া খুবই জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :