ডেস্ক রির্পোট :[২] নোভেল করোনা ভাইরাস বধের অব্যর্থ অস্ত্র আবিষ্কারে এখনও বিস্তর গবেষণা চলছে। বিভিন্ন দেশই কোভিড-১৯’এর ওষুধ, প্রতিষেধক আবিষ্কারে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। তার মধ্যেই খানিকটা এগিয়ে অক্সফোর্ডের গবেষণার কাজ। এবার তাদের পরীক্ষালব্ধ প্রতিষেধকই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়ে গেল। নেপথ্যে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।
[৩] ChAdOx1কোভিড-১৯ নোভেল করোনা মোকাবিলায় অক্সফোর্ডের তৈরি এই প্রতিষেধকটি অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। যদিও এই প্রতিষেধক প্রয়োগে যে ১০০ শতাংশ করোনা মোকাবিলা করা যাবে, সেই নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। তবু যেভাবে গোটা বিশ্বকে কাবু করেছে কোভিড-১৯, তাতে প্রতিষেধক হাতে পেতে আর তর সইছে না অনেকের। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনেকা (AstraZeneca) তাই গবেষণা শেষের আগেই তারা শুরু দিয়েছে উৎপাদন।
[৪] সংস্থার মুখ্য কর্মকর্তা পাস্কাল সরিয়ট জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে প্রতিষেধকটির উৎপাদন শুরু করা হয়েছে একটি লক্ষ্যেই। যদি এটা ১০০ শতাংশ সফল হয়ে যায়, তাহলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাধারণের নাগালে চলে আসবে। জানা যাচ্ছে, অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত ওষুধটি কতটা সফল, তা জুলাই মাসেই বোঝা যাবে। আসলে, অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকটির ১০০ শতাংশ সাফল্য নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।
[৫] তারা মনে করছে,সাফল্য শুধু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই উৎপাদনের তোড়জোড় শুরু হবে। আগে থেকেই সেই কাজ খানিকটা এগিয়ে রাখতে চাইছেন তাঁরা। এই কাজে অ্যাস্ট্রা জেনেকাকে সাহায্য করবে ভারতের পুনের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
[৬] সংস্থার টার্গেট, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি ওষুধ উৎপাদন করা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। গবেষণা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল জানার আগেই কেন ওষুধ উৎপাদনের কাজে হাত লাগাল অ্যাস্ট্রা জেনেকা, সেই প্রশ্ন উঠছে।