সুজিৎ নন্দী : [২] অবশেষে ডিএসসিসির বর্তমান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মশার ওষুধ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণে দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ৬মাসেরও বেশি সময় উড়ন্ত মশা মারার ওষুধ ছিটানো বন্ধ থাকা এবং মাঝে মাঝে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ওষুধ ধারে শুধু ভিআইপি এলাকায় ছিটাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির ভান্ডারে বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধ থাকলেও সেটি ফরমুলেশন (মিক্সিং) করতে না পারায় এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
[৩] ওষুধ ফরমুলেশনের জন্য ৬ মাস ধরে দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করলেও এখন পর্যন্ত তা চূড়ান্ত করতে পারেনি সংস্থাটি। সাবেক মেয়রের কাছের ‘ঠিকাদার সিন্ডিকেট’ এটি নিয়ন্ত্রণ করতো। ‘ভান্ডার প্রধান, স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিচ্ছন্ন বিভাগ এবং হিসাব বিভাগ’ এটি নিয়ন্ত্রণ করতো। তবে মশা মারার ওষুধ দুই সিটিতে বিভিন্ন সময় ধার নেয়া দেয়া হয়েছে।
[৪] সর্বশেষ বর্তমান মেয়র আসার পরে মশার ওষুধ সংকট দেখা দেওয়ায় ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবার আগের দিনে ৫০ হাজার লিটার ওষুধ ধার চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে একটি চিঠি দেয়। এরমধ্যে ২৫ হাজার লিটার ওষুধ দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে ডিএনসিসি। একাধিক সূত্র থেকে এতথ্য জানা যায়।
[৫] গত বছর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের পর বিদেশ থেকে সরাসরি ওষুধ আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। এরপর ভারত থেকে ম্যালাথিউন ৫% আমদানি করে ডিএসসিসি। কিন্তু আমদানিকৃত ওষুধটি সরাসরি ব্যবহার উপযোগী নয়। এর সঙ্গে ৯৫ শতাংশ ডিজেল ও ২৫ থেকে ৫০ এমএল সাইট্রোনেলা মিশ্রিত করে নগরীতে ছিটাতে হয়। এজন্য ডিজেল এবং ওষুধের ফরমুলেশন (মিশ্রণ) সঠিক হতে হয়। আর এই কাজটি করার জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোনও প্রযুক্তি নেই। এজন্য দ্বিতীয় পক্ষ দিয়ে কাজ করতে হয় নগর ভবনকে।
[৬] ভান্ডার সূত্র জানায়, সাবেক ‘মেয়র সিন্ডিকেট’ টেন্ডার কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করতে না পারায় ছয় মাস চলে গেছে। এরইমধ্যে ডিএসসিসির ভান্ডার ব্যবহার উপযোগী ওষুধ শেষ হয়ে যায়। বর্তমান মেয়র আসার পরে প্রকৃত ঘটনা তার কাছে যাওয়ায় আগামী সপ্তাহে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানা যায়। গত ৬মাস যাবত নগরীতে উড়ন্ত মশা নিধনে এখন ফগিং করা হচ্ছে না। এতে মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে।