সুজিৎ নন্দী : [২] সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিবহন চললেও সরকারি গণপরিবহনে নিয়ম মানছে না। বিশেষ করে সচিবালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন মতিঝিলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার গাড়ি স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। অন্যদিকে মোট গণপরিবহনের ৩০ ভাগ গাড়ি চলছে। এক্ষেত্রে বাসের আসন ফাঁকা রাখার যে নির্দেশনা ছিল সেটি পালন করতে দেখা গেছে।
[৩] এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি পালন হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনও মনিটরিং চোখে পড়েনি। নগরীর মতিঝিল, গুলিস্তান, ফার্মগেট, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এরকম চিত্র দেখা গেছে।
[৪] তবে কোনও পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। তবে পরিবহনগুলো বের হওয়ার আগেই জীবাণুমুক্ত করে রাখা হয়েছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা। তবে কিছু কিছু স্থানে হেলপাররা আগের মতো জোর করে টেনে টেনে যাত্রী তুলছেন।
[৫] ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, আজকের সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভালো। গতকাল থেকে আমরা গণপরিবহনে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি পালনের চেষ্টা চলছে। দূরপাল্লার গাড়িগুলোও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানো হচ্ছে। আমি এবং আমাদের মালিকরা সবস্থানেই তদারকি করছেন।
[৬] গ্রামীন, ট্রান্সসিলভা ও দিশারী পরিবহনের একাধিক চালক জানান, গতকালই আমাদের সব বাস জীবাণুমুক্ত করেছি। এখনও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাইনি। তাই সেটা নিয়ে বের হতে পারিনি। তবে যাত্রীদের আমরা ধীরে বাসে উঠাচ্ছি এবং নামাচ্ছি। তারা জানান, নিশ্চিত করেন পাশাপাশি দুটি সিটে কাউকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না।
[৭] বাস মালিক সামদানী ঘন্দকার বলেন, মহাখালীসহ বিভিন্ন টার্মিনালে জীবাণুমুক্ত টানেল স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর যারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করবে তাদের গাড়ি রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না।