সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন বলবত করতে সরকার যত দেরী করবে পরিস্থিতি ততই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। লকডাউন কার্যকরি করতে সামরিক বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ও এখতিয়ার দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সংস্থাসমূহের মাধ্যমে লকডাউন ফলপ্রসু করতে আগামী ৩০ দিনের জন্য দেশের সকল শ্রমজীবী-দিনমজুর ও অভাবী পরিবারসমূহের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোও নিশ্চিত করতে হবে।
[৩] তিনি বলেন, করোনা মহামারীর বিপজ্জনক সংক্রমন ও মৃত্যুর সময় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশে করোনা সংক্রান্ত পরামর্শকরেদ মতামত ও পরামর্শকে পাত্তা না দিয়ে বাস্তবে সবকিছু খুলে দিয়ে সরকার একদিকে চুড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে আর অন্যদিকে দেশের মানুষকে ব্যাপক সামাজিক সংক্রমন আর মৃত্যুর ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছে। জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ না থাকায় এবং কোন পর্যায়ে সরকারের কোন জবাবদিহিতা না থাকায় তারা একের পর এক স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন গতকাল থেকে গণপরিবহন চালু হবার পর বাস, ট্রেন ও লঞ্চে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন বালাই নেই। এই পরিস্থিতি করোনা সংক্রমন আরো দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরী করেছে।
[৪] সাইফুল হক বলেন, বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে করোনা দুর্গত মানুষের কাটার ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়া হয়েছে। সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, দলীয়করণ ও জালিয়াতির কারণে অধিকাংশ গরীব পরিবারের কাছে সরকারি বরাদ্দের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা পৌঁছায়নি।
[৫] সোমবার পার্টির ঢাকা বিভাগীয় জেলাসমূহের সভাপতি ও সম্পাদকদের সঙ্গে অনলাইন মিটিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।