শরীফ শাওন : [২] বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, যৌক্তিক কারণেই চাহিদার তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা বেশি রাখতে হয়, এটা রিজার্ভ মার্জিন হিসেবে পরিচিত। উৎপাদনশীল প্রতিটি দেশে এই রিজার্ভ মার্জিন শতভাগ বা ৭০ শতাংশের অধিক থাকে। রিজার্ভ রাখার কারণ হিসেবে জানায়, রুটিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকা, দুর্ঘটনাজনিত কারণে বন্ধ থাকা, পিক-অফপিক বিবেচনায় জ্বালানি ভেদে বন্ধ রাখা ও বহুদিনের ব্যবহারের কারনে উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাওয়া।
[৩] রোববার (৩১ মে) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, বহির্বিশ্বের মতই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের চাহিদা যাচাই করে উৎপাদন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৬ সালে উৎপাদন পরিকল্পনার উন্নয়ন করা হয়। বর্তমানে পুনরায় এই উন্নয়ন প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
[৪] ২০ মে টিআইবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চাহিদার তুলনায় বাড়তি জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অব্যাহত থাকায় ভাড়া-ভর্তুকিবাবদ অপচয় হচ্ছে এবং জনগণের ওপর বিলের অসহনীয় বোঝা তৈরি হচ্ছে। এসময় রেন্টাল বিদ্যুৎ পদ্ধতি বাতিল ও পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ এর সময়োপযোগী সংশোধনের দাবি জানায় সংগঠনটি। এই বিষয়ে টিআইবি’র মতামত ও তথ্যগুলো অসমর্থিত, অনুমান নির্ভর এবং একপেশে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।