মুসফিরাহ হাবীব: [২] ভারতে লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আর কিছু দিনের মধ্যেই ফের শুরু হচ্ছে শুটিং। কিন্তু অপেক্ষা শেষে হাসি ফুটবে কি সবার মুখে? সিরিয়ালের শুটিং শুরুর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৩৫ জনের বেশি রাখা যাবে না ইউনিটে। এ নির্দেশিকা মেনে শুটিং শুরু হলে বিপদে পড়বেন জুনিয়র আর্টিস্টরা। পার্শ্বচরিত্রের শিল্পীরাও পড়বেন কোপে।
[৩] আগামী তিন-চার মাসের আগে এ অবস্থার কোনও পরিবর্তান হবে না, শোনা যাচ্ছে এমনই।সিরিয়ালে জুনিয়র শিল্পীদের প্রয়োজন পড়ে ভিড় বাড়াতে। যেমন, বিয়ে, মেলা, হাসপাতাল, গ্রাম-শহর রাস্তাঘাটের লোকজন দেখাতেই এদের প্রয়োজন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতিতে শুটিংয়ে এ সব দৃশ্যের কাটছাঁট করা হবে বলেই জানাচ্ছেন সিনেমা প্রযোজকরা।
[৪] তাদের কথায়, রিয়্যালিস্টিক শুটিং করতে হবে। এখন অনেক বিয়েই ১০-১২ জন অতিথি নিয়ে সারা হয়, সিরিয়ালেও তা চালু হতে চলেছে। এতে কাজ হারাতে পারেন অনেক জুনিয়র আর্টিস্ট। লকডাউনের আগে ফ্লোরে মোটামুটি ৪০-৪২ জন টেকনিশিয়ানদের সাহায্য নিয়েই চলত এক-একটি ধারাবাহিকের শুটিং। তারপর চিত্রনাট্যের প্রয়োজন মতো শিল্পীর দল। এখন ফ্লোরে চার–পাঁচজনের বেশি শিল্পী না রাখার ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।
[৫] পার্শ্বচরিত্রের শিল্পীরা বেশিরভাগ কাজ করেন, দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে। কাজ ভাগ করলে সেখানে নিজের ট্র্যাক কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তায় আছেন এই শিল্পীরা। আবার বর্ষীয়ান শিল্পীদেরও এই মুহূর্তে না নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি টেলি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান শিল্পীরা। কিন্তু নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। ফলে অসুবিধেয় পড়ছেন এই বর্ষীয়াণ অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।