স্পোর্টস ডেস্ক : [২] মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে যখন দারুণ পারফর্ম করছিলো দল, তখনই ভবিষ্যতে চোখ ছিল ভারতের। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিরাট কোহলিকে। সম্ভাব্য উত্তরসূরীকে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন ধোনি। সেই দিনগুলি মনে করেই কোহলি বলছেন, ধোনির কাছ থেকে নেতৃত্বের অনেক কিছু শিখেছেন তিনি।
[৩] সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম কথোপকথনে কোহলি জানিয়েছেন, লম্বা সময় ধরে তিনি ধোনির বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন বলেই পেয়েছিলেন অধিনায়কত্ব। দায়িত্ব নেওয়ার প্রতি সবসময়ই ঝোঁক ছিল কোহলির। শেখার তাগিদে তাই সবসময় ধোনির সঙ্গে কথা বলতেন প্রচুর।
[৪] দায়িত্ব নিতে আমার সবসময়ই ভালো লাগতো। একটা সময় ব্যাপারটা ছিল, ম্যাচ খেলার তাড়না। একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাওয়া। শুরুতে সব ম্যাচ অবশ্যই খেলতে পারিনি। তবে সবসময় এটা নিশ্চিত করতে চাইতাম যেন আলোচনায় থাকি। তারা যেন বলেন, এই ছেলেটাকে নেওয়া যায় কিনা। - জি নিউজ
[৫] এরপর খেলাটার প্রতি আগ্রহের কারণেই অধিনায়কের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলার শুরু। আমি সবসময় এমএসের (ধোনির) কান ঝালাপালা করে দিতাম। তার পাশে দাঁড়িয়ে বলতাম, এটা করতে পারি আমরা, ওটা করতে পারি। অনেক কিছুতেই তিনি একমত হতেন না, তবে আমার সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনাও করতেন। আমার মনে হয়, তিনি এই বিশ্বাসটা পেয়েছিলেন যে তার যাওয়ার পর আমি দায়িত্বটা পালন করতে পারি। কোহলি জানালেন, ধোনিকে কাছ থেকে দেখেও অনেক কিছু তিনি শিখেছেন। -
[৬] আমার অধিনায়ক হিসেবে গড়ে ওঠার অনেকটা জুড়ে ছিলো তাকে লম্বা সময় ধরে কাছ থেকে দেখা। ব্যাপারটা মোটেও এমন নয় যে তিনি বিদায় নিলেন আর নির্বাচকেরা বলে দিলেন, এখন তুমি অধিনায়ক। দায়িত্বে যিনি থাকেন, তিনি অবশ্যই জানিয়ে রাখেন যে, এই ছেলেটিই হতে পারে পরের অধিনায়ক। আমি জানাতে থাকবো, সবকিছু কেমন চলছে। তার পর আস্তে আস্তে বদলটা হতে থাকে।
[৭] বাংলাদেশে ২০১২ এশিয়া কাপের আগে কোহলি প্রথমবার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ব্যাট হাতে এরপর ক্রমেই নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নেন তিনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে আচমকাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ধোনি। দায়িত্ব পান কোহলি। এরপর ২০১৭ সালের শুরুর দিকে পেয়ে যান সীমিত ওভারের নেতৃত্বও।-সূত্র, বিডিনিউজ