লিহান লিমা: [২]স্থানীয় সময় শনিবার লন্ডনের পেকহামের রাস্তায় মার্চ করেন বিক্ষোভকারীরা। পেকহামে দীর্ঘদিন ধরেই আফ্রিকান ও ক্যারাবিয়ান অভিবাসীদের বাস। বিক্ষোভকারীরা, ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনের মূল্য আছে’ ¯েøাগান দিয়ে মার্কিন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। ফ্রান্স২৪, ফোর্বস
[৩]বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘বর্ণবাদের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যও নিরপরাধ নয়। বিক্ষোভকারীদের একটি দল ফ্লয়েড হত্যার ন্যায্য বিচার দাবী করে লন্ডনের মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা ক্ষুদ্ধ। আমরা মনে করছি আমাদের কথা শোনা হচ্ছে না।’
[৪]একই দিন কানাডার টরেন্টোতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রায় ৪ হাজার বিক্ষোভকারী। টরেন্টোকে কিছুদিন আগে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ব্যালকনি থেকে পড়ে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ নারী রেগিস কোরচিনেস্কি পাকুয়েত। এক পুলিশ তাকে ওই সময় ঘরে ফিরতে বলেছিলেন।
[৫]জার্মানির বার্লিনে মার্কিন দূতাবাসের সামনে ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনের মূল্য আছে’, ‘বিচার নেই তো শান্তি নেই’, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ¯েøাগান দিয়ে জড়ো জন হাজারো বিক্ষোভকারী। এই সময় তারা সবাই মাস্ক পরিহিত ছিলেন।
[৬]সামাজিক গণমাধ্যমের পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে পুলিশের নৃশংসতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হবে।
[৭]গত সোমবার জাল টাকা দিয়ে কিছু কেনার অপরাধে জর্জ ফ্লয়েড কে গ্রেপ্তার করে চার পুলিশ অফিসার। অভিসার ডেরেক চাভিন গ্রেপ্তারের সময় তাকে নিজের গাড়ির নিজে হাঁটু চাপা দিয়ে রাখেন। বারবার আকুতি জানানোর পর জ্ঞান হারান ফ্লয়েড। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পথচারীদের ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনেপোলিসের রাস্তায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার চাভিনকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। তবে রাতারাতি মিনেসোটা ছাড়িয়ে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ সামলাতে প্রায় ৩০টি অঙ্গরাজ্যে কারফিউ আরোপ ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।