শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন-বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই নাকি ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। যে বিশেষজ্ঞগণ ‘মৃত্যু-বীজ’ ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা কোন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ সেটাই এখন অনুসন্ধানের বিষয়।
[৩] তিনি বলেন, এরকম বিশেষজ্ঞ ভারতের মতো দেশে পাওয়া গেল না কেন? সেখানে কেন ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ রাখা হয়েছে ? বাংলাদেশে হঠাৎ সবকিছু খুলে দিয়ে আমরা এখন এক কঠিন সংকটের মুখোমুখি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএলও’র নির্দেশনা অমান্য এবং করোনা নিয়ে সরকার গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির মতামত সরাসরি অগ্রাহ্য করে সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে।
[৪] রহুল কবির রিজভী বলেন, গণবিরোধী সরকার কখনোই গণমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, কারণ তার সবসময় চিন্তা-বিভ্রাটের মধ্যে থাকে। করোনা বিস্তারের প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে লকডাউন শিথিলের পরিণতি বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনক রুপ নিয়েছে। এটি হিতে বিপরীত হয়েছে। অন্যান্য দেশে করোনা কমে আসার পর লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে পরিণতি হয়েছে সর্বনাশা বিপর্যয়ের।
[৫] তিনি বলেন, নতুন করে ধেয়ে এসেছে করোনা ভাইরাসের তান্ডব। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সারা বিশে^র তুলনায় সর্বনি¤œ। ব্যাঙের প্রতি বাচ্চাদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের খেলার মতো বাংলাদেশ সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে ২৬% শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে ২৮% শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর ওপর আজ থেকে সবকিছু খুলে দিয়ে সরকারের ইচ্ছা কি সারাদেশকে বধ্যভূমি বানানো ?
[৬] রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির এই নেতা।
আপনার মতামত লিখুন :