মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে শুরু হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন লেনদেনের শুরু থেকে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে।
[৩] দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৩২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেদেনে অংশ নেয়া ৬০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৫ কোম্পানির শেয়ার দর। এ দিন মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। যা আগের দিনে তুলুনায় অনেক বেশি।
[৪] ডিএসইর প্রধান সূচক গত ২৫ মার্চের চেয়ে ৫২.১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪০৬০.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৩৪.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৬৫.৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৩০.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ৯৫১.৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
[৫] লেনদেনের ভিত্তিতে ডিএসইতে শীর্ষে অবস্থান করা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণ ফোন, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লি., সিলভা ফার্মা, সেন্ট্রাল ফার্মা, ইন্দো বাংলা ফার্মা, রেকিট বেঙ্কাইজার ও মুন্নু সিরামিকস।
[৬] অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির।
[৭] করোনাভাইরাসে প্রভাবে ৯ মার্চ পুঁজিবাজারে বড় পতন দেখা যায়। এর প্রতিদিন পতন হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ মার্চ থেকে বাজারে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়।
[৮] এর পরেও পতন অব্যাহত থাকে। পরে প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এতে কিছুটা পতন থেমে যায়। এর মধ্যেই ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে পুঁজিবাজারে লেনদেনসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।