সিরাজুল ইসলাম : [২] জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষী দিবসে জাতিসংঘের পোস্টাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার এই ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
[৩] অবমুক্ত ১২টি ডাকটিকিটে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, মুজিব বর্ষের লোগো, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের ছবি। জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিয়োজিত বাংলাদেশের দুজন নারী হেলিকপ্টার পাইলটের আইকনিক প্রতিকৃতি রয়েছে টিকিটে।
[৪] জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এটি বঙ্গবন্ধুর শান্তির মতবাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। এ মতবাদের ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।
[৫] অনুষ্ঠানে শান্তিরক্ষীদের প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এ সময় ব্রু হেমলেটের অধীনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানোদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব ২০১৯ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ৮৩ জন শান্তিরক্ষীকে মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পুরস্কারে ভূষিত করেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের দুজন আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষী রয়েছেন। তারা হলেন কনস্টেবল মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও সৈনিক আতিকুল ইসলাম।
[৬] জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। বাংলাদেশের ১ লাখ ৭০ হাজার ২২১ জন শান্তিরক্ষী ৪২টি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ৯টি মিশনে ৬ হাজার ৫৪৩ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন।