মুসা আহমেদ: [২] করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পেরু। অর্থনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের জন্য আবেদন করে দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটি। শুক্রবার নমনীয় ঋণ সুবিধার আওতায় আইএমএফ ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় তামায় সমৃদ্ধ এ দেশটিকে। রয়টার্স
[৩] এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে বেশ ভালো অর্জন করেছিলো পেরু। যা ছিলো অনেক ঈর্ষার মত। তবে করোনা মহামারীর কারণে বেড়ে যায় সামগ্রিক ঝুঁকি। ধসে যায় দেশটির অর্থনীতি।
[৪] তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় পেরু সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আর্থ-সামাজিক অবস্থার ধস ঠেকাতে বিভিন্ন প্যাকেজও ঘোষণা করেছে দেশটি। তবে করোনার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ থমকে আছে। নিম্ন মুদ্রাস্ফীতি এবং সমৃদ্ধ অর্থবছরে দেশটির সরকারি ঋণ সর্বনিম্ন করার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ছিলো তাদের আর্থিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। এছাড়া আর্থিক খাতগুলোর কার্যকরী পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়।
[৫] পেরুর ঋণ ব্যবহার নিয়ে তিনি জর্জিভা আরো বলেন, ঋণকে সদ্ব্যবহার করার মানসিকতা রয়েছে পেরুর। বাহ্যিক ঝুঁকি এড়িয়ে এ ঋণের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশটি অর্থনীতিতে ভাল অবদান রাখবে আশা রাখছি।
[৬] তামা উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৯৮৩ জন।
[৭] যেসব দেশ অর্থনীতিতে বেশ শক্তিশালী তাদের সঙ্কট ও দুর্যোগ মোকাবিলার স্বার্থে ২০০৯ সালের এ ঋণ কর্মসূচি চালু করে আইএমএফ। এ ঋণের অর্থ গ্রহীতা দেশ চাইলে ঋণকৃত সম্পূর্ণ অর্থ একবারে তুলে নিতে পারে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে কোন প্রকার জটিলতার সৃষ্টি করে না।