শাহানুজ্জামান টিটু : [২] বিএনপির নীতিনির্ধারক বলেন, যে কারণে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট সুবিধা পাওয়ার কথা আমরা তা পাচ্ছি না। আমাদের বেশিরভাগ মানুষ এখনো যুবক। যাদের বয়স কম যারা কাজে লাগতে পারে। সেখানে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের বয়োবৃদ্ধের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যুবকদের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তার উল্টো চিত্র।
[৩] তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি এর মান এত নিচে নেমে গেছে। সেখানে একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলে তা মানবসম্পদে পরিণত করা সেটাও আমরা করতে পারছি না। বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাও ধস।
[৪] আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটাকে মানব সম্পদে পরিণত করতে হলে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাস্থ্যবান শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু বিশ্বে যে ক্যাবলগুলো আছে সেখানে আমরা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দুটিতেই একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে। সুতরাং এখানে বিনিয়োগ যদি করতে না পারলে ক্ষতিটা আমাদের দেশের হবে। আমরা যে জায়গায় পৌঁছেছি সেখান থেকে তুলে আনতে হলে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। সত্যিকার অর্থে সঠিক বিনিয়োগ।
[৫] স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জাতির ফাউন্ডেশন হচ্ছে এই দুই জায়গায়। এ কারণে হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপ করতে গেল শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য হচ্ছে মূল বিনিয়োগের জায়গা। আমরা বলেছি জিডিবির ৫% শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বরঞ্চ বিনিয়োগ যেসব জায়গায় হচ্ছে বড় বড় দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা সব চলে যাচ্ছে বাইরে। সঠিক জায়গায় আমরা বিনিয়োগ করতে পারিনি, পারছি না। এই জায়গাগুলোতে আমাদেরকে নজর দিতে হবে।
[৬] তিনি বলেন, আমরা সরকারকে যে প্যাকেজটি দিয়েছি সেখানেও আমরা পরিষ্কার ভাবে বলেছি ব্রেকডাউনগুলো কোথায় কিভাবে দিতে হবে। কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে।
[৭] বাজেট ভাবনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কথা বলেন।