শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২০, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০২০, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মুকসুদপুরে জলাবদ্ধতায় ৫ শ’ বিঘা জমির ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

টিটু শেখ, মুকসুদপুর প্রতিনিধি: [২] গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জলাবদ্ধতায় ৫ শ’ বিঘা জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের পর বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের পূর্ব লখন্ডা পাথারের প্রায় ধান তলিয়ে গেছে। অপরিকল্পিভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও তেলিকান্দার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

[৩] ওই পাথারে পানি আটকে থাকায় বদ্ধ পানিতে জোক জম্মেছে । সেখানে শ্রমিকরা পানির মধ্যে ধান কাটতে নামলেই জোকে আক্রমন করে। ধান কাটা শ্রমিক পাথারে নামলেই শরীরে চুলকানি শুরু হয়। এ কারণে ধানকাটা শ্রমিক ধান না কেটেই পালিয়ে যাচ্ছে। ওই পাথারের শতাধিক কৃষক জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

[৩] লখন্ডা গ্রামের কৃষক মিন্টু কাজী বলেন, গোহালা ও ননীক্ষীর ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের পাথারের পানি অপেক্ষাকৃত নিচু পূর্বলখন্ডা পাথার হয়ে তেলিকান্দির ছোট খাল দিয়ে গোহালার বড় খালে নেমে যোতো। গোহালা ইউনিয়নের প্রসন্নপুর থেকে তেলিকান্দা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তেলিকান্দির খাল ভরাট হয়ে গেছে। তাই পানি নামতে পরেছেনা। বৃষ্টির পানি এসে জমা হচ্ছে পূর্ব লখন্ডার পাথারে।

[৪] এ পানিই জলাবদ্ধাতরা সৃষ্টি করেছে। ওই পাথারে আমাদের ৫৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান রয়েছে। ধান কাটা শ্রমিক পাচ্ছিনা। যারা ধান কাটতে আসছে জোকের আক্রমন ও চুলকানির কারণে পালিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারবকিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

[৫] পূর্ব লখন্ডা গ্রামের কৃষক হান্নান শেখ, দুলু কাজী, মোস্তফা মিনা ও রশিদ মিনা বলেন,তেলিকান্দির খাল খনন করা হলে আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। কিংবা মাত্র ৭শ’ থেকে ৮ শ’ মিটার ড্রেন নির্মাণ করে পাথার থেকে গোহালা খালে সংযোগ করে দেয়া হলেও আমাদের পূর্ব লখন্ডা পাথারে জলাবদ্ধা থাকবেনা। ধান নিয়ে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবো।

[৬] ধানকাটা শ্রমিক শাম শেখ, কালিমুল্লাহ মুন্সি বলেন, এখানে ধানের গাছ পানিতে তালিয়ে গেছে। ধানের শীষ জেগে আছে। ধান কাটতে খুব কষ্ট হয়। তারপর পানির মধ্য দিয়ে ধান মাথায় করে বয়ে আনতে হয়। এতে কষ্ট আরো বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি পাথারে নামলেই জোক আক্রমন করে। শরীর চুলকায়। এ সব কারণে শ্রমিকরা ধানকাটা ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে।

[৭] গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাজী হারুন আর রশীদ মিরন বলেন, প্রতি বছর ধান পাকার পর বৃষ্টি হলেই ওই পাথারে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে ফসল নষ্ট ও কৃষকের দুর্ভোগের শেষ থাকেনা। পানি উন্নয়নবোর্ডকে খাল খনন বা ড্রেন নির্মাণ করে দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে আবেদন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। আমি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।

[৮] গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বাড়ৈ বলেন, মুকসুদপুরের পূর্ব লখন্ডা পাথারের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে নতুন প্রকল্প গ্রহন করবো। প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কৃষককে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়