আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত সবার আগে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে নেপালের সঙ্গে। কিন্তু নিজেদের নতুন ম্যাপে ভারতের কিছু অংশ যোগ করতে চাওয়ায় এই সম্পর্ক আগের মতো নেই। দ্য কুইন্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু
[৩] নতুন মানচিত্র অনুমোদনের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব নেপালের মন্ত্রীসভায় পাস হলে প্রতিবাদ জানায় ভারত। এমনকি কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যর্থ হলে বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্তও নেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
[৪] নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিও সামরিক বিবকল্পের আভাস দিয়েছিলেন। তিনি নিজ দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল পূর্ণ চন্দ্র থাপাকে ডেকে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানেকে একটি চরমপত্র পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবশ্য জেনারেল থাপা সেই নির্দেশ মানতে অনীহার কথা সঙ্গে সঙ্গে জানান।
[৫] প্রসঙ্গত নেপালী সামরিক বাহিনী অনেকটাই ভারতীয় সামরিক বাহিনীর উপর নির্ভরশীল। এমনকি নেপালের নিরাপত্তা বিহ্নিহ হলে ভারত হস্তক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরেই নেপালের সেনাপ্রধান ভারতের সেনাবাহিনীতে একটি মর্যাদাপূর্ণ সাম্মানিক জেনারেলের অলঙ্কারিক পদ ভোগ করে আসছেন। ভারতের সেনাপ্রধানও নেপালে এমন মর্যাদা পান।
[৬] বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থলবেষ্টিত দেশটি বাণিজ্য, বিশেষত তেল আমদানিতে সম্পূর্ণভাবে ভারতের উপর নির্ভরশীল। তবে ভারত বেশ কয়েকবার এর ফায়দা নেয়ায় দেশটিতে এখন ভারতবিরোধী মনোভাব প্রবল। ক্ষমতাসীন কসিউনিস্ট পার্টি এই মনোভাবের সুযোগ নিয়েই জনপ্রিয়তা বাড়াতে চাচ্ছে।