মাসুদ আলম : [২] মাহবুব এলাহী চৌধুরী হীরক (৫৭)। পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৫ মে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনা টেস্টের পরপর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও করোনা ইউনিটেই চিকিৎসা চলছিলো তার। বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হীরকসহ ৫ জন মারা যান। বৃহস্পতিবার ভোরে আজিমপুর কবরস্থানে হীরককে দাফন করা হয়েছে।
[৩] হীরকের ছোট ভাই সিনিয়র সাংবাদিক নাঈম আহমেদ জুলহাস বলেন, আমার আব্বার পরে আমাদের অভিভাবক ছিলেন আমার বড় ভাই হীরক। আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করেন। ভাইয়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাদের দুজনেরই বিয়ে হয়েছে। ছেলে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। হাসপাতালে করোনা টেস্টের পরপর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিলো হীরকের। তবুও চিকিৎসকরা বলেছিল, তৃতীয়বার একটি করোনা টেস্ট করেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই টেস্টের ফলাফল জানার আগেই আগুনে পুড়ে মারা গেলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতাল কতৃপক্ষের গাফেলতি ছিলো। সঠিক তদন্ত করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। হীরক সংযোগ নিউজের উপদেষ্টা ছিলেন।
[৪] তিনি আরো বলেন, তারা মহাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক আগেই হাসপাতালে হীরকের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন তার একমাত্র ছেলে আনান চৌধুরী। আইসোলেশনে থাকায় বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পেরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে বাসায় ফিরে আসেন। তার কিছুক্ষণ পরই জানতে পারেন তার বাবা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :