আসাদুজ্জামান বাবুল : [২] গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে দু-দল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদসহ কমপক্ষে ২৫/৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার সময় ভাংচুর করা হয়েছে ১০-১৫টি দোকান, ১টি বাড়ি। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে একটি মোটরসাইকেল। রাত ৭ টা ৪০ মিনিটের সময় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো, মীর্জা আবুল কালাম আজাদ।
[৩] অপরদিকে.মুকসুদপুর কাশিয়ানী উপজেলার দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী পুলিশ সুপার মো, আনোয়ার হোসেন ভুইয়া রাত পৌনে ৮ টার দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গতকাল সোমবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী আশু মিয়ার ছেলে মো, আলমগীর উপজেলার বনগ্রাম বাজার থেকে ঔষধের দোকান বন্ধ করে পায়ে হেটে বাড়ী যাচ্ছিল। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা মহারাজপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক লাভলু খাঁনের গাড়ীতে তার শরীরে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক সমাধান করে দেন। কিন্ত, আজ মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে আলমগীর হোসেন দোকান ঘর খুলে ঔষধ বেচাকেনার কাজ করছিলেন। কিছুক্ষন পর মহারাজপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক লাভলু তার লোকজন নিয়ে আলমগীরের দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারপিট করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আলমগীরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র –শস্ত্র নিয়ে বনগ্রাম বাজারে পৌছালে উভয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সটগান দিয়ে ৪৯ রাউন্ড গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘষ চলাকালীন একে অপরের ইটপাটকেলের আঘাতে থানার ওসিসহ কমপক্ষে ২৫/৩০জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতদের মুকসুদপুর- রাজৈর ও ফরিপুর মডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যপী সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোচনা ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান রাজ্জাকের সমথক এমন ২ জনকে আটক করেছেন। তারা, প্রতিপক্ষ লাভলুর পক্ষে মারামারি করতে এসেছিলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে বনগ্রাম বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।