সালেহ্ বিপ্লব : [২] জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাতে নামাজ পড়েছেন মিনহাজুল আবেদীন। তিনি জানালেন, সাতটার একটু আগে জামাত শুরু হয়। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় জামাত থেকে শৃঙ্খলা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। গাদাগাদি করে নামাজে দাঁড়িয়েছেন সবাই।
[৩] তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা আলমগীর কবির আলম ঈদের নামাজ পড়েছেন রহিম মেটাল মসজিদে। তিনি জানালেন, প্রথমে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। নিয়মনীতি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি বলেন, কিছুই মানা হয়নি সেখানে। মানুষের ভিড় থেকে বাঁচার জন্য মসজিদের বাইরে একদম শেষ কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েছি।
[৪] তারপরও আনন্দ পাননি কেউই। কোলাকুলি করতে না পারায় বড়ো একটা শূন্যতা রয়ে গেছে সবার মনে।
[৫] হাতিরঝিল, সংসদ ভবন এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ কিছু বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে গেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় খুবই নগণ্য। কিন্তু তারা কেউই শারীরিক দূরত্ব মানেননি।
[৬] ঘরের ভেতর যারা ছিলেন, তারা কমবেশি বিধি মেনে চলেছেন। কেউ কেউ সীমিত পরিসরে শহরে থাকা বাবা-মা ও অন্য মুরুব্বীদের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। কিন্তু মা-বাবাকে ঘিরে সব সন্তানের যে সামষ্টিক আনন্দ, সেটা হতে পারেনি। এক ভাই হয়তো স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মা-বাবাকে সালাম করে এসেছেন। তিনি চলে আসার পর গেছেন আরেক ভাই বা বোন। সচেতন যারা, তারা এভাবেই সীমিত পরিসরে বিধি মেনে বিভিন্ন বাসায় গেছেন।
[৭] বড়ো মোটামুটি মানিয়ে নিতে পারলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে অনেকেই নতুন জামা-জুতোর আব্দার করেনি। কিন্তু ঈদের দিন সালামি নেয়ার যে তুমুল আনন্দ, সেটার অভাব বোধ করেছে তারা। বাবা-মায়েরা নানাভাবে বাচ্চাদের ব্যস্ত রেখে দিনটি পার করিয়েছেন। বিশেষ করে মায়েরা রান্নাবান্না, ঘর গোছানোর কাছে বাচ্চাদের সঙ্গে রেখে চেষ্টা করেছেন ঘাটতিটুকু পূরণের। তারপরও ঘুরেফিরেই শিশুকিশোরদের মুখে শোনা গেছে আক্ষেপের কথা।
[৮] আক্ষেপ নিয়ে দিনটি যারা পার করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ করতে হবো ফটো সাংবাদিকদের কথা। কোলাকুলির দারুণ একটা শট নেয়া তাদের অনেক বছরের অভ্যাস। এবার তা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :