বিনোদন ডেস্ক: [২] ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা প্রয়াত কৌতুক অভিনেতা দিলদারকে স্মরণ করলেন কৌতুক অভিনেতা হারুন কিসিঞ্জার। সোমবার ঈদ-উল ফিতরের দিন বিকেলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে হারুন কিসিঞ্জার বলেন তিনি অনেক বড় গুণী শক্তিশালী অভিনেতা ছিলেন। উনাকে দেখলেই মানুষ হাসতো। ফেসবুক
[৩] প্রায় ৭৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু চলচ্চিত্রে নয়, ৪২টি কৌতুক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। তবে সবকিছু থেকে দূরে সরে হারুন কিসিঞ্জার এখন আড়ালের মানুষ। আগের মতো আর চোখে পড়ে না। না কাজে না কোনো খবরে।
[৪] আমি আর্থিকভাবে আল্লাহর রহমতে বেশ সচ্ছ্ল। আমার কোনো অভাব নেই। তবে যেই চলচ্চিত্র দিয়ে আমি পরিচিতি পেয়েছি, সেই চলচ্চিত্রের মানুষ যদি আমার কোনো খোঁজ না রাখে তবে খুব কষ্ট লাগে। জাগোনিউজ
[৫] ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদারে। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন দিলদার।
[৬] ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। এরপর চলচ্চিত্রে গড়েন সুদীর্ঘ ক্যারিয়ার। উপহার দেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা।
[৭] দিলদারদিলদারের তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামের সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন।
[৮] দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন। একই বছর ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতা।
[৯] মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ নামে দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। বাংলা নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :