প্রিয়াংকা : [২] করোনায় সুরক্ষিত থাকার পূর্বশর্ত সামাজিক দূরত্ব। এটি মানতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি। যার নেতিবাচক প্রভাব এখন প্রায় সবখানে।
[৩] দেশের অর্থনীতির অন্যতম সম্ভবনাময় খাত ই-কমার্স। করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে এ খাতটি। ই-কমার্স সংগঠন ই-ক্যাব বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন প্লাটফর্মে বেচাকেনা কমেছে ৬০ শতাংশ।
[৪] অনলাইন ব্যবসার বেশিরভাগই আমদানি নির্ভর। কিন্তু, করোনার কারণে বহু পণ্য বন্দরে আটকে থাকায় সঙ্কটে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। তাদের শঙ্কা, এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামীতে দেখা দিতে পারে পণ্যের ঘাটতি।
[৫] কয়েক বছরে বিস্তৃত হয়েছে অনলাইন ব্যবসার পরিধি। দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম দারাজের সঙ্গেই এখন যুক্ত ১৫ হাজার প্রতিষ্ঠান।
[৬] ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে, বর্তমানে এমন সংখ্যা ১১শর বেশি। তবে করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পর প্রায় সব প্ল্যাটফরমেই বিক্রি কমে গেছে গড়ে ৬০ শতাংশ।
[৭] কেবল তাই নয়, ক্রয়াদেশ না থাকায়, বন্ধও হয়ে গেছে ছোট-মাঝারি অনেক প্রতিষ্ঠান। এ খাতে প্রতিমাসে ক্ষতির পরিমাণ ৬৬৬ কোটি টাকা।
[৮] বর্তমানে এই খাতের সাথে যুক্ত ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ। ই-ক্যাব মনে করেন, আগামী এক বছরে আরও অন্তত ৫ লাখ মানুষের কাজের সুযোগ দেয়া সম্ভব।
[৯] এর আগে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে জামানতবিহীন ঋণ দাবি করছিলেন ই-কমার্স উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে তারা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতিও চেয়েছেন। সূত্র : চ্যানেল ২৪