সিরাজুল ইসলাম: [২] শাহ মোহাম্মদ শাহেদকে (২৫) পাহাড়ে মাটি চাপা দিয়েছে তারা। রোববার ডাকাতের হাতে অপহৃত মোহাম্মদ ইদ্রিস (২৭) পালিয়ে এসে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
[৩] নিহত শাহেদ টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে। ১ মে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহৃত আক্তার উল্লাহ (২৪) নামে এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিলো রোহিঙ্গা ডাকাতরা। ২৯ এপ্রিল ডাকাত দল টেকনাফের মিনাবাজার এলাকায় ধান ক্ষেত থেকে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।
[৪] নিহতের পরিবার বলছে, অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাতরা। তারা ডাকাত আবদুল হাকিম পরিচয় দিয়ে আসছিলো।
[৫] হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, মরদেহ উদ্ধার ও ডাকাতদের ধরতে পুলিশ পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবার ও স্থানীয়রাও ভয়-ভীতির মধ্যে রয়েছে।
[৬] পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালানা করছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
[৭] রোহিঙ্গা ডাকাতরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা অপহরণ, ডাতাতিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। বাদ দিচ্ছে না খুন ধর্ষণও। এছাড়া বিপুল রোহিঙ্গা মাদক পাচারে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :