শিমুল মাহমুদ: [২] অনুমতির ভিত্তিতে ২৬ মে থেকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে একযোগে ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পে উৎপাদিত কিটের ইন্টারনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে জানিয়েছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
[৩] তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন ১০০ জনের ওপরে মূলত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটা করবো। এছাড়া বিএমআরসিকে আরো ৩ শ কিট দিয়েছি পরীক্ষা নিরীক্ষা জন্য।
[৪] কিটের উদ্ভাবক ডা. বিজন কুমার শীল বলেন, রেজিস্ট্রেশনের জন্য কিটের দু’ধরনের ভ্যালিডেশন প্রয়োজন। একটা হলো এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন, আরেকটি ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন। বিএসএমএমইউতে এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন হচ্ছে। তাদের অনুমতি সাপেক্ষেই গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন হবে। এটা বিএসএমএমইউ’র ভ্যালিডেশনেরই এক্সটেনশন বলা যেতে পারে।
[৫] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের উপচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, গতকাল গবেষক দলের সভাপতির সাথে কথা হয়, তিনি জানিয়েছেন কার্যাকারিতা পরীক্ষা নিরীক্ষায় আরো সময় লাগবে। গবেষক দল কাজ তাদের কাজ সম্পন্ন করে আমাকে জানাবে আমি সেটি চিঠি দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানাবো।
[৬] সূত্র মতে, এই ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন মূলত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সাসপেক্টেড রোগীর ওপর এটাও একধরনের পরীক্ষা। তাই যে কেউ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপতাল বা সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে গিয়ে স্যাম্পল দিলে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ টেস্ট করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
[৭] এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কিট বিপণনের জন্য ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন দরকার। কিন্তু যারা হাসপাতালে ঘুরে টেস্ট করাতে পারছে না, আমরা তাদের টেস্ট করিয়ে দিতে চাচ্ছি। এ জন্য যে অনুমোদনটুকু প্রয়োজন, সেটা বিএসএমএমইউ আমাদের দিয়েছে। এটাকে ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন বলে। এখানে অন্য কোনো জটিলতা থাকার কথা না।
[৮] সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এই গবেষণা কর্মের শুরু থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন ফি-সহ কিটের স্যাম্পল জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য।
আপনার মতামত লিখুন :