শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২০, ১০:১৮ দুপুর
আপডেট : ২৪ মে, ২০২০, ১০:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনার চিকিৎসায় ১৩ সরকারি হাসপাতালে রেমিভির সরবরাহ করেছে এসকেএফ

শিমুল মাহমুদ : [২] করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ইনজেকশন রেমডেসিভির, বাংলাদেশের এসকেএফ এটি তৈরি করেছে রেমিভির নামে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আজ এটি বাজারজাত করার অনুমোদন দিয়েছে। অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সরকার পরিচালিত সব করোনা হাসপাতালে এই ঔষধ সরবরাহ করবে এসকেএফ।

[৩] এসকেএফ ফার্মার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেমিভির উৎপাদন করা হয়েছে এসকেএফের ফারাজ আইয়াজ হোসেন ভবনের প্ল্যান্টে। সেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ও সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে।

[৪] করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডেসিভির। এটির উদ্ভাবক গিলিয়েডের নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।

[৫] বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুমোদনের পরপরই এসকেএফের ফরমুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। এসকেএফ মের প্রথম সপ্তাহে এর উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঔষধ প্রশাসন আজ এটি বাজারজাতের অনুমতি দেয়।

[৬] এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন বলেন, এসকেএফ চায় বাংলাদেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে। এর চিকিৎসা যেন সহজলভ্য হয়, সে জন্য এসকেএফ কাজ করছে। রেমডেসিভির জাতীয় ওষুধ রেমিভির তৈরির পেছনেও সেই একই লক্ষ্যে কাজ করেছে।

[৭] রেমডেসিভির বাজারজাতের অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এসকেএফকে ওষুধটি বাজারজাতের অনুমতি দিয়েছি। তারা এটা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করতে পারবে। প্রথম আলো

[৮] করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), জাপান সরকার এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’ বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়