লাইজুল ইসলাম : [২] করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সবাই বলছেন লকডাউন অনেকটা সিথিল পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণে সংক্রমনের হার বাড়ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের মত সীমিত সম্পদ আর ঘণবসতীপূর্ণ একটি দেশে লকডাউন কিভাবে সম্ভব?
[৩] এ বিষয়ে রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোশতাক হোসাইন বলেন, সতর্ক থাকতে হবে। এটার প্রথম ধাপ হচ্ছে ভাবতে হবে আশপাশের সবাই করোনা সংক্রমিত। তাই অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যের থেকে ১ মিটার বা তিন ফুট দুরুত্ব রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রেও দুরুত্ব রাখতে হবে। ভীড় আছে এমন কোথাও যাওয়া যাবে না।
[৪] ডা. মোস্তাক বলেন, মার্কেটে বাজার করতে গেলে ফাঁকা দোকানে যেতে হবে। অথবা যেতে হবে এমন সময়, যখন দোকানে বা মার্কেটে লোক থাকবে কম। যেকোনো গণপরিবহন বা পরিবহনে একাধিক যাত্রী থাকলে চড়া যাবে না। আরেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলোমগীর বলেন, সব সময় সাবান হাত ধুতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব হলে পকেটে বা ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। হাত না ধুয়ে বা জীবানুমুক্ত না করে কোনো ভাবেই চোক, নাক, মুখ স্পর্শ করা যাবে না।
[৫] ডা. আলোমগীর বলেন, বাহিরে গেলে, সেখান থেকে ফেরত আসার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। গায়ের কাপড় আধা ঘন্টা বালতিতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর পরিবার বা স্বজনদের কাছে যেতে হবে। করোনা ভাইরাস চোখের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই জিরো পাওয়ারের গ্লাস পরা যেতে পারে।
[৬] বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দুজনেই বলেন, এসব নিয়মগুলো মেনে চললে একজন সুস্থ্য মানুষ তার দৈনন্দিন কাজগুলো করতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :