ইসমাঈল ইমু : [২] বিমান বাহিনী জাতীয় যেকোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের প্রয়োজনে সহায়তা প্রদান কওে আসছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় জাতীয় যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জরুরী বিমান পরিবহন এবং মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন সহায়তা প্রদান করছে।
[৩] এরই ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ৬টি পরিবহন বিমান এবং ২৯টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে। বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনসহ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের জন্য অপস্ রুম খোলা হয়েছে।
[৪] ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা দ্রুত পরিদর্শন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন ও ত্রাণ সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বিমান বাহিনীর এসকল পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে ফটো ও ভিডিও চিত্র ধারণ করার জন্য বিমান বাহিনীর এমআই-১৭ সিরিজ হেলিকপ্টারে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠবে এবং আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
[৫] দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক প্রশাসন, পিডব্লিউডি ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বিমান বাহিনী তার জনবল ও সম্পদসহ সর্বদা প্রস্তুত আছে। আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা প্রদানের জন্য বিমান বাহিনী বরিশাল এয়ারফিল্ডকে ফরওয়ার্ড স্টেজিং এরিয়া হিসেবে প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়াও, দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে প্যারাসুটের মাধ্যমে ১ হাজার প্যাকেটে ত্রাণ সামগ্রী বিতরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় যেকোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।