রাশিদ রিয়াজ : [২] এ বছরেই পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এক মোড় পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন দূর সহ ৫’শটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে রেমিটেন্স এলে তা বিনা ফি’তে তোলার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু করোনার ধাক্কায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক হাল এখন ১৯৫১-৫২ অর্থবছরের ন্যায়। আরটি
[৩] একমাত্র কৃষি খাত ছাড়া সব খাতেই নেতিবাচক সূচক দেখাচ্ছে দেশটি। এক বছর আগে অর্থনীতির আকার ২৮০ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমেছে ২৬৫.৬ বিলিয়ন ডলারে।
[৪] পাকিস্তানের ন্যাশনাল এ্যাকাউন্টস কমিটি বলছে আগামী জুন শেষে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লকডাউন ও গত ৯ মাসের বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে এ হিসেব স্থির করা হয়েছে।
[৫] এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় গৃহীত স্থিতিশীলতার কারণে ২.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়।
[৬] গত বছরও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৫৩ শতাংশ। মূলত সেবাখাতের কারণে প্রবৃদ্ধির হার সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু দেশটির শিল্পখাত সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে করোনায়।
[৭] পাকিস্তানের সেবাখাত দেশটির অর্থনীতির আকারের ৬০.৪ শতাংশ। এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৪.৬ শতাংশ থাকলেও তা নেমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশে। পাইকারি ও খুচরা খাতে বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা ৩.৯ থাকলেও তা হ্রাস পেয়েছে ৩.৪ শতাংশ।