আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি:[২] বাজারে বেগুনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীদের মনে বেগুন চাষে আগ্রহ বেড়েছে।তাই রবি মৌসুমে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় বেগুন চাষ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বেগুনের ফল ছিদ্রকারী পোকার অব্যাহত আক্রমণে অধিকাংশ বেগুন খেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বেগুন চাষিরা।
[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে। তবে মৌসুম ছাড়া এখন ২০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ রয়েছে। বেগুনের ফলনও হয়েছে ভালো। তবে ছিদ্রকারী পোকার উপদ্রব বেড়ে গেছে। তবে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক চাষীদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
[৪] উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের জামাইল গ্রামের বেগুন চাষি মকবুল, বড়ুয়া গ্রামের লোকমান, চর কাটিহারী গ্রামের নেকবর আলীসহ অনেকেই জানান, দু-তিন দিন পর পর বেগুন খেতে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগ করলেও কোনোমতেই বেগুন ফলের ছিদ্রকারী পোকা দমন করা যাচ্ছে না। ফলে ভালো মানের বেগুন খেতেই নষ্ট হচ্ছে। তাই বেগুন চাষে উৎপাদিত খরচ উঠে আসবে না বলে জানান স্থানীয় চাষীরা।
[৫] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েস জানান, মৌসুম শেষে বেগুনে পোকার আক্রমণটা বেড়ে যায়। তাই বেগুন খেতে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক (যেমন :সমিক্রণ, ইনতেফা কোম্পানির জামির, ফাতির, সাহাম, পেট্রোকেম কোম্পানির কোরাজেন, বায়ার কোম্পানির বেল্ট) প্রয়োগ করলে ছিদ্রকারী পোকা দমন করা যায়। তবে মৌসুম ছাড়া ফসলে পোকার আক্রমণ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার