মহসীন কবির : [২] বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ প্রবেশ করেছে। আর এক্ষেত্রে প্রশাসনের অনেকটা শৈথল্য দেখা গেছে। তবে দেশে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় আবার কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। ডিবিসি টিভি ও বাংলানিউজ
[৩] জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঢাকা মহানগরিতে প্রবেশ ও বের হতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিএমপি। এদিকে সন্ধ্যার পর চট্টগ্রামে প্রবেশ ও বের হতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিএমপি।
[৪] ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুর ইসলাম জানান, করোনার বিস্তার রোধে শুরুতে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এখন থেকে আবার সেই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে তল্লাশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কোনো ব্যক্তি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঢাকা শহরে প্রবেশ বা বাইরে যেতে না পারেন সে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
[৫] অন্যদিকে সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানান, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে রবিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা পরিবহন একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেনো মহানগরীতে প্রবেশ বা বাহিরে যেতে না পারে সেজন্য নগরীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। তবে জরুরি সেবা ও রপ্তানি পণ্য সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
[৬] এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনগণকে বাসায় থাকায় অনুরোধ জানানো হয়। যা কয়েকদফা বেড়ে ৩০শে মে পর্যন্ত বাড়ে। এর মধ্যে রোজার কারণে ১০ই মে থেকে লকডাউন শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সুযোগ দেয়া হয়; স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদের নামাজও পড়ার সুযোগ দেয়া হয়।
[৭] লকডাউন শিথিল ও শপিং মল খুলে দেয়া হলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক। সচেতন মহলেও একই আশঙ্কার কথা শোনা যায়।
[৮] গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর, নতুন আক্রান্ত হিসেবে আরও ১,২৭৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। একদিনে এটিওই সর্বোচ্চ শনাক্ত।