ডা. এম ইয়াছিন আলী : বাতব্যথা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন- শরীরের কোনো মাংশপেশিতে ব্যথা হলে বাতব্যথা বলে মনে করা হয় এবং ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করে অনেকে। ওষুধ সেবনের পর ব্যথা কমে এবং ওষুধের কার্যকারিতা শেষ হলে আবার ব্যথা শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করেন কেউ কেউ। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি কিডনি, লিভার ও হরমোনজনিত বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হন। এতে কিডনি বা লিভার ফেইলিউর হয় কারও কারও। আবার সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকিও থেকে যায়।
করণীয় : কোনো ব্যথাই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসা নিতে হবে। ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে হবে। অনেক কারণে ব্যথা হয়। তাই চিকিৎসক রোগীর রোগের বর্ণনা, ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশনের পাশাপাশি কিছু প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। একই ধরনের উপসর্গ থাকলেও রোগ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন-রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউটি আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস, অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস ইত্যাদি রোগের উপসর্গ কাছাকাছি। তবে চিকিৎসা ভিন্ন।
তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেফার্ড পেইনও হতে পারে। যেমন- কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর সমস্যা হয় ঘাড়ে। কিন্তু রোগী অসুবিধা বোধ করে হাতে। কিছু ক্ষেত্রে রোগীর সমস্যা কোমরে। কিন্তু রোগী অসুবিধা বোধ করে পায়ে। তাই রোগ নির্ণয় করা খুব জরুরি। রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াও ফিজিওথেরপি চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যথা ভালো হয়ে যায়। নিজেকে ভালোবাসুন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন।
লেখক : চিফ কনসালট্যান্ট ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
আপনার মতামত লিখুন :