আজম খান : একটা ধর্মভিত্তিক দল যখন গঠিত হয় তখন সেটার উদ্দেশ্য থাকে রাষ্ট্রে সেই ধর্মটিকে প্রতিষ্ঠা করা। সেখানে মতাদর্শ, লক্ষ্য সবই একটাই থাকে। রাষ্ট্রের অন্য লোকেরা সেখানে ব্রাত্য হয়ে পড়ে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে। এবার আপনি যতোই বুঝ দেন না কেন, সহী ইসলাম কায়েম হলে এসব হবে না। ঠিক একই কারণে বিজেপির উত্থানে ভারতের মুসলমানেরা আতঙ্কে ভোগে। বিজেপিতে যদিও মুসলমান লোকজনও আছে। তারপরও এই ভীতি, নিজেকে রাষ্ট্রের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন মনে করেই তারা চলে। এবার কোনো ভারতীয় বিজেপি সমর্থক আপনাকে যতোই বুঝ দিক না কেন সহী হিন্দুত্ব কায়েম হলে এসব হবে না। তাহলে আপনি জেনেবুঝে কীভাবে একটা ধর্মভিত্তিক দলকে সমর্থন দিতে পারেন? ইটার উত্তর হলো আপনার ভেতরে একটা বিরাট বর্বর পশু বাস করে। সামনের কোরবানির ঈদে পশু কোরবানি দেন না দেন, পারলে এটারে অন্তত কোরবানি দিয়ে দিয়েন। বিপ্লবী ছাত্র-মৈত্রী রাষ্ট্রচিন্তার বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের (ঈশা) উপস্থিতি তাদের বিব্রত করেছে বলে জানিয়েছে। আমি তাদের এই উপলব্ধিকে স্বাগত জানাই। আপনি অন্য দেশে যেখানে মুসলমান সংখ্যালঘু সেখানে ডানপন্থীদের রাজনীতির উত্থান চাইবেন না, কিন্তু নিজের দেশে ডানপন্থার বিকাশে সার দেবেন সেটা হবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিপাত যাক। ফেসবুক থেকে