ডিডিমুন: [২] করোনা ভাইরাসের জিনম তথ্য জমা রাখে বিশ্বের জার্মানির সবচেয়ে বড় ডেটাবেজ সংস্থা গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএইড)। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জিনোম রহস্য উদঘাটনের তথ্য জমা দিয়েছেন সেজুঁতি সাহা।
[২] শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা। তার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানটি এনিয়ে গবেষণা করে। এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন রলি মালাকার, সাইফুল ইসলাম সজীব, হাসানুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, শাহিদুল ইসলাম, জাবেদ বি আহমেদ এবং মাকসুদ ইসলাম।
[৩] অনুজীববিজ্ঞানী সমীর কে সাহা বিশ্বের অণুজীববিজ্ঞানীদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন আমেরিকান সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজির পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তার অন্য গবেষণার জন্য পুরস্কৃত হন।
[৪] গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএইড) এর ওয়েবসাইটে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ এপ্রিল এই গবেষণাদলটি ২২ বছর বয়সী এক নারীর রোগীর কাছ থেকে ভাইরাসের নমুন সংগ্রহ করেন। এরপর ইল্লুমিনা আইসেক ১০০ প্রযুক্তির মেশিনে সংগৃহিত নমুনার ওপর গবেষণা করে ভাইরাসটির জিনোম তথ্য খোঁজা শুরু করেন।
[৫] এরকম আরো সিকোয়েন্স জানা হলে বাংলাদেশের ভাইরাসটি সম্বন্ধে একটা ধারনা পাওয়া সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযু্ক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব।
[৬] প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত জিআইএসএইড-এর ডেটাবেজে করোনা ভাইরাসের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০ হাজার ৭৯৯টি ভাইরাসের জীবনরহস্য জমা পড়েছে।
[৭] বিশ্বের বিভিন্ন ভাইরোলজিস্ট ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে দেখতে পেয়েছেন, এরই মধ্যে এই ভাইরাসটি নিজের জিন বদলে ফেলেছে ৩৮০ বার!