ইকবাল খান: [২] ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর বিজ্ঞানীরা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সূত্র : আনন্দবাজার।
[৩] এ বিষয়ে ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু-র উদাহরণ টেনেছেন বিজ্ঞানীরা। তিন দফায় ওই ফ্লু-তে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ মারা যায়।
[৪] আইসিএমআর-এর এমেরিটাস বিজ্ঞানী নরেন্দ্র কে মেহরা বলেন, করোনাভাইরাস আসার আগে যে জীবন সবাই কাটিয়েছে, সংক্রমণ থেমে যাওয়ার পরে সেটা কাটানো যাবে না। হাত ধোয়া, দূরত্ববিধি তো রয়েছেই, সঙ্গে মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
[৫] ভারতের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্স’-এর এক বিজ্ঞানীর কথায়, এমনও হতে পারে যেমন ভাবে মার্স বা সোয়াইন ফ্লু পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি, কোভিড-১৯-ও সেভাবেই থেকে যাবে।’’
[৬] ভারতের ‘ট্র্যানস্লেশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, যদি কয়েক মাস পরে সারা বিশ্বে কোথাও আর কোনও নতুন সংক্রমণ না-হয়, যাঁদের স্বল্প উপসর্গ বা যাঁরা উপসর্গহীন, তাঁরা নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে যান, আর ক্রিটিক্যাল রোগীদের একাংশ মারা যান, তার পর যে জীবনটা শুরু হবে, তা কখনওই কোভিড-১৯ সংক্রমণের আগের জীবন হবে না।
[৭] সংস্থার ইমিউনোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অমিত অবস্থীর কথায়, সংক্রমণ থামার পরেও কমপক্ষে দু’বছর কোভিড-১৯-এর আগের জীবন ভুলে যাওয়া শুধু নয়, বরং কোভিড-১৯-এর সঙ্গে আমাদের সহাবস্থান করতে হবে।