বিপ্লব বিশ্বাস : [২]অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক রইছ উদ্দিন।ঘটনা এপ্রিলের, কিন্তু বহু টালবাহানা করে চাপে পরে এক সপ্তাহের পর ধর্ষণের মামলা না নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেয় বরগুনা জেলার তালতলী থানা পুলিশ।
[৩]কিন্তু ঘটনার পর অনেকেই মুখ বুঝে থাকলেও সরব হয়ে উঠে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কয়েকটি গণমাধ্যম। এরপর আরও সমালোচনায় পরে তালতলী থানা পুলিশ। তারপরেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি পুলিশ।
[৪]নির্যাতিত গৃহবধূও আশা ছেড়ে দেন সঠিক বিচারের। সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেই অভিযানে নামে র্যাব-৮। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার মুল হোতা জহিরুল আকনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
[৫]তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল আকন জানায় ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সে বাদে আরও চারজনে ধর্ষণ করেছে ওই গৃহবধূকে।
জহিরুল গ্রেফতার ও গণধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করায় সঠিক বিচার আশা করছেন নির্যাতিত ওই গৃহবধূ। তিনি বলেন, পুলিশের আচরণে হতাশ হয়ে বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি।
[৫]তিনি বলেন, বার বার পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, তারপরেও পুলিশ তার কথা শোনেনি। তবে র্যাবের এমন তৎপরতায় নতুন করে বিচারের আশা করছেন তিনি।
[৬]র্যাবকে ধন্যবাদ দিয়ে এই ঘটনায় অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতার করা আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেছে তেতুলবাড়িয়া এলাকাবাসী।
[৭]র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক রইছ উদ্দিন জানান, ‘বরগুনায় ৭ বছরে কন্যাকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গণধর্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ
[৮]গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপরতা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মামলার অন্যতম আসামী ও মোটরসাইকেল চালক জহুরুল আকনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা। আটককৃত আসামিকে তালতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।