বিপ্লব বিশ্বাস : [২] মৃত্যুর সাথে দেড়মাস হাসপাতালের বেডে পাঞ্জা লড়ে। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেল চঞ্চল নামের এক প্রতিবাদি যুবক। চঞ্চল মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই মাদক কারবারিরা ইট দিয়ে তার মাথা থেতলে দেয়। অবশেষে ১ লা মে চঞ্চল মারা যায়।
[৩] ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল এলাকায়। নিহত চঞ্চল হোসেন বাবুরাইল এলাকার আব্দুর রশিদ বেপারীর ছেলে।
[৪] সূত্র জানায়, গত ১৪ মার্চ মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় বাবুরাইল এলাকার ধোরাব মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আরব ও তার দুই ভাইসহ সহযোগীরা ইট দিয়ে চঞ্চলের মাথা থেঁতলে দেয়। পরবর্তীতে দেড়মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। শুক্রবার (১ মে) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঐ ঘটনায় নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আরবকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করেন।
[৫] মামলায় আরবের দুই ভাই মিরাজ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এবং অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামী করা হয়।
[৬] নিহতের ভাই মনির হোসেন জানান, ১৪ মার্চ দুপুরের দিকে আরব তার ভাই মিরাজ ও আনোয়ার হোসেনসহ আর কয়েকজন মিলে চঞ্চলকে মারধর করে। তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। এরপর তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, এরপর সাইনবোর্ড এলাকার প্রোঅ্যাক্টিভ মেডিক্যাল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সবশেষ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
[৭] মনির অভিযোগ করে আরও জানান, আরব একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও সে পুলিশের সোর্সের কাজ করে। যার কারণে সে মাদকের ব্যবসা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে না। চঞ্চল তার মাদকের ব্যবসায় বাঁধা দিয়েছিল। এই জের ধরেই তারা চঞ্চলকে মারধর করে।
[৮] এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফীউল আলম বলেন, মামলা দায়েরের পর আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছিলাম। সে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। এরমধ্যে করোনার পরিস্থিতির কারণে বাকিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি আগে মারধরের ছিল। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। দ্রুতই আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :