মাজহারুল ইসলাম : [২] করোনা ভাইরাসের স্ট্রেন’ বা প্রজাতিটি গত দু’মাসে নিজের চরিত্রগত বদল ঘটিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চায় এই (আইসিএমআর) সংস্থাটি।
[৩] সংস্থার শীর্ষস্থানীয় এক বিজ্ঞানীর মতে, সার্স-কোভ২ ভাইরাস স্ট্রেন নিজেকে পরিবর্তিত করছে কি না, তা জানা গেলে বিষয়টি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। স্ট্রেনটি আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে কি না, সংক্রমণের ক্ষমতা বাড়িয়েছে কি না, পরীক্ষায় তাও জানা যাবে। বিজ্ঞানী জানান, লকডাউন উঠে গেলে সমীক্ষাটি হবে। কারণ তখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে সহজে কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা আনা যাবে।
[৪] আন্তর্জাতিক ভাইরাস-ডেটাবেস জিআইএসএআইডি’র তথ্যানুযায়ী, ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের স্ট্রেনটির সঙ্গে অন্যান্য দেশে ছড়ানো স্ট্রেনের সর্বোচ্চ পার্থক্য ০.২ শতাংশ থেকে ০.৯ শতাংশ। সংক্রমিতেরা অন্য দেশ থেকে ভারতে করোনার বিভিন্ন স্ট্রেন নিয়ে এসেছেন, এমন সম্ভাবনাও থাকছে। চীনের উহান, ইরান ও ইটালি থেকে আসা ৩ রকমের স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে ভারতে। এর মধ্যে চীন ও ইরানের স্ট্রেনের মধ্যে মিল রয়েছে।
[৫] আইসিএমআর-এর অপর এক শীর্ষ বিজ্ঞানী রমন গঙ্গাখেদকর এর আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভারতে করোনার প্রজাতিটি খুব দ্রুত চরিত্র পাল্টায়নি। এই প্রজাতিটিকে চিনতে একটু সময় লাগবে। তবে চরিত্র বদল হলেও তা সম্ভাব্য প্রতিষেধককে নিষ্ক্রিয় করে দেবে, এমন মনে হয় না। কারণ, এ ভাইরাসের সমস্ত উপপ্রজাতি (সাব-টাইপ)-তে একই উৎসেচক রয়েছে। আনন্দবাজার
আপনার মতামত লিখুন :