মুসা আহমেদ: [২] করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত মার্কিন বিমানখাত। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় দুইমাস বন্ধ রাখা হয় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। ফলে এ খাতে আয় ধসের বিপরীতে ব্যাপকভাবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফের হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে দেশটির বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো। রয়টার্স
[৩] রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে বর্তমানে করোনার কারণে টিকেট চাহিদা ব্যাপক কমে যাওয়ায় স্থগিত রয়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি ফ্লাইট। চাহিদা ৯৫ শতাংশেরও বেশি ধসে যাওয়ায় বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করে রেখেছে হাজার হাজার বিমান।
[৪] বিমান প্রতিষ্ঠান স্পিরিট অ্যারো সিস্টেমস জানায়, করোনার কারণে বোয়িং কোং ও এয়ারবাস এসই কোম্পানির আয় ব্যাপক কমে যাওযায় ১ হাজার ৪৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
[৫] প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা টম জেন্টিল জানান, করোনার কারণে হঠাৎ ধসে পড়ে বিমানের আয়। যাত্রীদের টিকেট চাহিদাও ব্যাপক পরিমাণ কমে যায়। আবার কিছু চাহিদা থাকলেও কোন কারণে ওই ফ্লাইট বাতিল করে টিকেটের টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে। ফলে দিনে দিনে ক্ষতি গুণছে কোম্পানিগুলো। মনে হচ্ছে, এ নিম্নগামী চাহিদা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
[৬] এ বিষয়ে বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী ডেভ ক্যালহুন বলেন, ২০১৯ সালের মত অর্থনৈতিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আনুমানিক আরো দুই তিন বছর লাগবে। এরপরও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে। কোন কোন বাণিজ্যিক বিমান কোম্পানি আরো ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে।
[৭] এর আগে বিমান প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোং (বিএ.ন) সার্বিক ব্যয় কমাতে ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :