ডেস্ক নিউজ : [২] অর্থনৈতিক ভিত্তি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অর্থ বাণিজ্যের সাময়িকী ইকোনমিস্ট, যেখানে করোনাভাইরাস সংকটে সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে থাকা দশ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের ৬৬টি দেশের এই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে, যা চীন ও ভারতের চেয়েও ভালো। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল বাংলাদেশের নামই তুলনামূলক নিরাপদে থাকা দেশের তালিকার শীর্ষ দশে এসেছে। সূত্র: সমকাল
[৩] চীন থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারি যে বড় ধরনের অর্থনৈতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই।
[৪] ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় তিন দশকের মধ্যে এবারই প্রথম বছরের শুরুর তিন মাসে অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার তথ্য দিয়েছে চীন সরকার। ইউরোপ ও আমেরিকায় মহামারির প্রকোপ শুরু হয়েছে পরে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশে এখনও লকডাউন ওঠেনি। তাদের ক্ষতির তথ্যও সুনির্দিষ্টভাবে আসতে শুরু করেনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাসহ শতাধিক দেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা চেয়েছে। মিসরের মত কোনো কোনো দেশ আগের ঋণ শোধাতে না পেরে বেইল আউট চেয়েছে।
[৫] ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সের বরাত দিয়ে ইকোনমিস্ট জানিয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর বন্ড ও শেয়ারবাজার থেকে গত চার মাসে ১০০ বিলিয়ন ডালেরের বেশি তুলে নিয়েছে। তুলে নেওয়া অর্থের এই অঙ্ক ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার সময়ের তিন গুণ।
[৬] ইকোনমিস্ট লিখেছে, কভিড-১৯ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে অন্তত তিনভাবে। লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় উৎপাদনও বন্ধ থাকছে। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। আর বিশ্বের বড় একটি অংশ বেকায়দায় থাকায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহেও টান পড়ছে।
[৭] এই মহামারি জুলাইয়ের আগে থিতিয়ে এলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জিডিপি এবার আইএমএফের গত অক্টোবরের পূর্বাভাস থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম হবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট।
[৮] সংকট মোকাবিলা করতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর অন্তত আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হতে পারে বলে ইকোনমিস্টের ধারণা। আর এই টাকা তাদের সংগ্রহ করতে হবে বিদেশ থেকে অথবা নিজেদের রিজার্ভ ভেঙে চলতে হবে।সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :