শিরোনাম
◈ গুলিস্তানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ কর্মকর্তাকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার ◈ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: তিন মাসে ক্ষতি শত কোটি ডলার ◈ দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন ◈ তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, জাতীয় গ্রিডে বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে হতাহত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা বাংলাদেশের ◈ প্রবাসীদের বড় সুখবর দিল ওমান সরকার ◈ জেদ্দায় স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ–সৌদি হজ চুক্তি: ৭৮ হাজার ৫০০ জনের কোটা নির্ধারণ ◈ ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জন্মান্ধ মিজানের ৫ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ (ভিডিও)

টিভিএনএ রিপোর্ট: [২] বিরল প্রতিভার অধিকারী কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমান। গ্রামের পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ তার। গ্রাহকের নাম বললে বা মোবাইল নম্বরের শেষ দুই ডিজিট বলে দিলেই ওই নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয় কোনও ঝামেলা ছাড়াই তিন বছর ধরে করে যাচ্ছেন মোবাইল ব্যাংকিং।

[৩] কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম টাঙ্গারিপাড়ার তিনি কৃষক মনতাজ আলী এবং মমিনা বেগম দম্পতির ছেলে মিজান। দুই ভাই বোনের মাঝে সে ছোট। বড় বোন মরিয়মের বিয়ে হয়ে গেছে।

[৪] জন্মান্ধ মিজান অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছেন। তবে অভাবের কারণে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে সংসারের হাল ধরতে ২০১৭ সালে ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেন। এই ব্যবসা দিতে গিয়ে শুরুতে কিছুটা বিড়ম্বনার স্বীকার হলেও এখন আর কোনও সমস্যা হয় না তা।

[৫] তার মেধাশক্তি দিয়ে ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, রকেটসহ টাকা লেনদেন করছেন। গ্রামের মানুষকে ফ্লেক্সিলোড দিতে দিতে এখন পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ হয়ে গেছে।

[৬] মিজানুর রহমান জানান, শুরুতে কিছুটা সমস্যা হতো। কিন্তু এখন আর হয় না। চোখে না দেখলেও কোন বাটনে কোন সংখ্যা এটা মোবাইল সেটের ওপর হাত রেখে বলে দিতে পারি। ব্যবহার করতে করতে আমার সব জানা হয়ে গেছে।

[৭] মিজানুরের বাবা মনতাজ আলী বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে মিজানুর জন্ম থেকেই অন্ধ। অভাবের সংসারে মিজানের চিকিৎসা করার জন্য উলিপুর, রংপুর ও দিনাজপুর চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান বয়স হলে তার চোখ ভালো হতে পারে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে মিজানের আর চিকিৎসা করা হচ্ছে না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়