শিরোনাম
◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জন্মান্ধ মিজানের ৫ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ (ভিডিও)

টিভিএনএ রিপোর্ট: [২] বিরল প্রতিভার অধিকারী কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমান। গ্রামের পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ তার। গ্রাহকের নাম বললে বা মোবাইল নম্বরের শেষ দুই ডিজিট বলে দিলেই ওই নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয় কোনও ঝামেলা ছাড়াই তিন বছর ধরে করে যাচ্ছেন মোবাইল ব্যাংকিং।

[৩] কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম টাঙ্গারিপাড়ার তিনি কৃষক মনতাজ আলী এবং মমিনা বেগম দম্পতির ছেলে মিজান। দুই ভাই বোনের মাঝে সে ছোট। বড় বোন মরিয়মের বিয়ে হয়ে গেছে।

[৪] জন্মান্ধ মিজান অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছেন। তবে অভাবের কারণে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে সংসারের হাল ধরতে ২০১৭ সালে ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেন। এই ব্যবসা দিতে গিয়ে শুরুতে কিছুটা বিড়ম্বনার স্বীকার হলেও এখন আর কোনও সমস্যা হয় না তা।

[৫] তার মেধাশক্তি দিয়ে ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, রকেটসহ টাকা লেনদেন করছেন। গ্রামের মানুষকে ফ্লেক্সিলোড দিতে দিতে এখন পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ হয়ে গেছে।

[৬] মিজানুর রহমান জানান, শুরুতে কিছুটা সমস্যা হতো। কিন্তু এখন আর হয় না। চোখে না দেখলেও কোন বাটনে কোন সংখ্যা এটা মোবাইল সেটের ওপর হাত রেখে বলে দিতে পারি। ব্যবহার করতে করতে আমার সব জানা হয়ে গেছে।

[৭] মিজানুরের বাবা মনতাজ আলী বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে মিজানুর জন্ম থেকেই অন্ধ। অভাবের সংসারে মিজানের চিকিৎসা করার জন্য উলিপুর, রংপুর ও দিনাজপুর চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান বয়স হলে তার চোখ ভালো হতে পারে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে মিজানের আর চিকিৎসা করা হচ্ছে না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়