শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জন্মান্ধ মিজানের ৫ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ (ভিডিও)

টিভিএনএ রিপোর্ট: [২] বিরল প্রতিভার অধিকারী কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমান। গ্রামের পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ তার। গ্রাহকের নাম বললে বা মোবাইল নম্বরের শেষ দুই ডিজিট বলে দিলেই ওই নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয় কোনও ঝামেলা ছাড়াই তিন বছর ধরে করে যাচ্ছেন মোবাইল ব্যাংকিং।

[৩] কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম টাঙ্গারিপাড়ার তিনি কৃষক মনতাজ আলী এবং মমিনা বেগম দম্পতির ছেলে মিজান। দুই ভাই বোনের মাঝে সে ছোট। বড় বোন মরিয়মের বিয়ে হয়ে গেছে।

[৪] জন্মান্ধ মিজান অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছেন। তবে অভাবের কারণে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে সংসারের হাল ধরতে ২০১৭ সালে ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেন। এই ব্যবসা দিতে গিয়ে শুরুতে কিছুটা বিড়ম্বনার স্বীকার হলেও এখন আর কোনও সমস্যা হয় না তা।

[৫] তার মেধাশক্তি দিয়ে ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, রকেটসহ টাকা লেনদেন করছেন। গ্রামের মানুষকে ফ্লেক্সিলোড দিতে দিতে এখন পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ হয়ে গেছে।

[৬] মিজানুর রহমান জানান, শুরুতে কিছুটা সমস্যা হতো। কিন্তু এখন আর হয় না। চোখে না দেখলেও কোন বাটনে কোন সংখ্যা এটা মোবাইল সেটের ওপর হাত রেখে বলে দিতে পারি। ব্যবহার করতে করতে আমার সব জানা হয়ে গেছে।

[৭] মিজানুরের বাবা মনতাজ আলী বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে মিজানুর জন্ম থেকেই অন্ধ। অভাবের সংসারে মিজানের চিকিৎসা করার জন্য উলিপুর, রংপুর ও দিনাজপুর চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান বয়স হলে তার চোখ ভালো হতে পারে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে মিজানের আর চিকিৎসা করা হচ্ছে না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়