মাজহারুল ইসলাম : [২] সুদানের অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে চলা প্রথা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফজিএম) অর্থাৎ নারী খৎনা’ দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
[৩] বহু বছর ধরে সুদানে চলে আসছে বিভৎসা প্রথা নারী খৎনা। যার মাধ্যমে নারীদের ওপরের অথবা ভেতরের লেবিয়া এবং ক্লিট কেটে ফেলা হয়। আর তা যে অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে করা হয়, এমন নয়। এমন কাজে পারদর্শী গ্রামের কোনও নারীকে দিয়ে এটি করানো হয়ে থাকে। এ কারণে মূত্রনালীতে সংক্রমণ, জরায়ুর সংক্রমণ, কিডনির সংক্রমণ, সিস্ট, গর্ভধারণে অক্ষমতা ও ব্যথাযুক্ত শারীরিক সম্পর্কের মতো নানারকম সমস্যা দেখা দেয়।
[৪] জাতিসংঘের মতে সুদানের ১৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সী যেকোনো নারীকে এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ১৯৪৬ সালে দেশটি নারী খৎনা নিষিদ্ধ করে। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেরি ক্ষমতায় আসার পর এটি বিলুপ্ত করা হয়।
[৫] তখন এটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন তীব্র সমালোচনা ও বিরোধিতা করলেও কাজ হয়নি। জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দেশ সুদানের এই বর্বরোচিত প্রথার বিলুপ্তি ঘটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছিলো বহু বছর ধরে। অবশেষে তারা সফল হলো।
[৬] শুধু সুদানই নয়, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার অনেক দেশে এই প্রথা চালু রয়েছে। সুদানের নারীদের তো মুক্তি মিললো, বাকি দেশগুলোর নারীদের মুক্তি হবে কবে। ইউনিসেফ, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান সূত্র থেকে রাইজিংবিডি
আপনার মতামত লিখুন :