চিরিরবন্দর, দিনাজপুর প্রতিনিধি : [২] করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গো-খাদ্যের দাম উর্ধ্বমূখী ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় খামারীরা বিপাকে পড়েছে।
[৩] হাট-বাজার ও যানবাহন বন্ধ থাকায় তাদের খামারের গরু, ছাগল, বাজারজাত করতে না পারায় পড়েছে অর্থ সংকটে। গো-খাদ্য না পাওয়ায় ও গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে এই সব ছোট-বড় খামারীদের। অনেকেই পুজি হারিয়ে পথে বসেছেন।এমতাবস্থায় বাজারে দুধ ও মাংসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৪]উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে উপজেলায় ছোট-বড় মোট গরুর খামার ৪০০, পোল্ট্রি খামার ২০০টি।
[৫] উপজেলার ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশনের সদস্য তৌহিদুর সরকার জানান, গো-খাদ্যের মূল্য দ্বিগুন আর দুধের দাম এক লিটার পানির দামের সমমূল্য। তাদের উৎপাদিত দুধ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না হওয়ায় প্রতিদিনই খামারে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এতে করে অনেক খামারি গরু নিয়ে পথে বসতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, শুধু দুধ নয় তাদের খামারের অনেক গরু বিক্রয় হয়েও হাট বাজার বন্ধ থাকায় বিক্রি করতে পারছেনা। ফলে ওই সমস্ত গরুর পিছনে তাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে খাদ্যের যোগান দিতে হচ্ছে।
[৬] খামারীদের অনেকে বলছেন, যদি লোকসানের মুখে তাদের খামারের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তাহলে দেশে দুধ ও মাংসের কৃত্রিম সংকট দেখা দিবে। তাই কৃষি খাতে সরকার যে প্রণোদনা ঘোষনা করেছেন তা মাঠ পর্যায়ে তালিকা করে দ্রুত যদি খামারীদের মাঝে পৌছানো না হয় তাহলে দেশে চরম সংকটের সৃষ্টি হবে। এছাড়াও গো-খাদ্য, ফিডসহ অন্যান্য খাবার সামগ্রীগুলোর মূল্য কমিয়ে বাজারজাত করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।
[৭] সচেতন মহলের অনেকের ধারনা এখনই যদি উপজেলার ছোট-বড় খামারী ও খামার সংশ্লিষ্ট সকল খাতে সরকার সুদৃষ্টি না দেয় ও সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে এই খাত লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে ।
[৮] উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাঈদ জানান, ইতিমধ্যে প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট খামারীদের তালিকা দেয়া হয়েছে। হয়তো খুব শীঘ্রই কিছু একটা সমাধান হতে পারে। সম্পাদনা : ইস্রাফিল হাওলাদার