হারুন উর রশিদ : করোনায় মারা গেছেন পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০)। এই করেনাকালে আমরা দেখি করোনা তো দূরের কথা সাধারণ রোগে কেউ মারা গেলেও মৃতদেহের কাছে কেউ যান না। পাড়া প্রতিবেশী সেতো অনেক দূরের, আপনজনই খুঁজে পাওয়া যায় না। দাফনের সময় কেউ থাকেন না। কিন্তু কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের সহকর্মীরা তিনি করোনায় মারা গেছেন বলে তাকে ছেড়ে যাননি। তাকে ঠিকমতো দাফন করেছেন। দাফনের আগে জানাজা পড়েছেন। জানিয়েছেন সহকর্মীর প্রতি বীরোচিত সম্মান। সহকর্মীরা তাকে দেখছেন বীর হিসেবে। তার পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। আমার কাছে এটা দেখে মনে হয়েছে এই হচ্ছে আমাদের মানবিক পুলিশ। এই হচ্ছে ভ্রাতৃত্ববোধসম্পন্ন আমাদের পুলিশ। এটাই আমাদের পুলিশ বাহিনী।
তারাই এখন করোনার রোগী নিয়ে হাসপাতালে যান। লাশ দাফনের লোক পাওয়া না গেলে যোগাড় করেন। কোনো এলাকা প্রয়োজনে লকডাউন করেন। সামাজিক দূরত্ব মানানোর জন্য মাঠে কাজ করেন। করোনায় বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াকে নামিয়ে দিলে পুলিশ গিয়ে আবার বাসায় তুলে দেয়। তাই আমি মনে করি পুলিশের কাছ থেকে আমাদের এখন মানবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখা উচিত। পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে। তিনি দুই মেয়ে এক ছেলের বাবা। জসিম উদ্দিন ওয়ারী পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওয়ারী ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি করোনায় সংক্রমিত হন। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। বিশেষ দ্রষ্টব্য : ৩০ এপ্রিল আরও দুজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :