লিহান লিমা: [২] সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এন্ড ডিজাইন (এসইউটিডি) এর ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকদল এ তথ্য দিয়েছেন। গোটা বিশ্বের সংক্রমণ হারের ওপর ভিত্তি করে ‘সাসপেক্টেবল-ইনফেক্টেড-রিকোভারেড) এসআইএর মডেলের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ২৯ মে এর মধ্যে সারা পৃথিবীতে করোনার সংক্রমণ প্রায় ৯৭ শতাংশ কমে আসবে এবং ২৬ নভেম্বরের মধ্যে পৃথিবীতে করোনার সংক্রমণ শতভাগ কমে যাবে। এসইউটিডি ওয়েব।
[৩] তারা তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বের ১৩১টি দেশের করোনা সংক্রমণ হারের তথ্য তুলে ধরে। এই মডেলে বলা হয়, ১২ মে’র মধ্যে বাংলাদেশ করোনার সংক্রমণ ৯৭ শতাংশ কমে আসবে। এবং ১৯ মে’র মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯৯ ভাগ বিদায় নিবে করোনা ভাইরাস। ভারতে ২১ মে নাগাদ করোনার সংক্রমণ ৯৭ ভাগ কমে আসবে ও ২৬ জুলাই করোনা মুক্ত হবে ভারত। মডেল অনুসারে ৬ মে ফ্রান্স, ৮ মে ইতালি, ১৬ মে ব্রিটেন, ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। এবং ১৩ জুন অস্ট্রেলিয়া, ৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ শতভাগ কমে যাবে।
[৪] ১৯২৭ সাল থেকেই এসআইএ মডেল প্রয়োগ করা হয়। এই মডেলের সাহায্যে মূলত বায়ুবাহিত রোগের (হাম, মাম্পস প্রভৃতি) সংক্রমণের ফলে শিশুদের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ইমিউনিটি দেখা হত। তাই করোনায় এই মডেলের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এই মডেলে সংক্রমণ হারের বিষয়টিকে সার্বিক সরলীকরণ করা হয়েছে।
[৫] বিশ্ববিদ্যালয়টিও জানিয়েছে, তাদের এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র পরবর্তী গবেষণার তথ্য হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। জটিল ও সংক্রমণ রোগের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান উপযুক্ত নাও হতে পারে। তারা তাদের এই মডেলের ভিত্তিতে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহিত পদক্ষেপে কোনোরকম শিথিলতা আনতে নিষেধ করেছে।