সাইদ রিপন: [২] করোনা মহামারীতে দেশের সকল নাগরিক লকডাউনের আওতায় স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী জীবনযাপন করছে। ঘরবন্দী অবস্থায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ দৈনন্দিন কার্যক্রম যেমন অফিস, চিকিৎসা, যোগাযোগ, অর্থ লেনদেন, কেনাকাটা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাসহ সকল কার্যক্রম করে যাচ্ছে। সরকার এই সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে সব কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে করতে বলছেন।
[৩] এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। সরকার ও বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ভিত্তিক লেখাপড়া করতে হবে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ নাগরিক যখন অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত তাহলে কিভাবে দেশের সকল শিক্ষার্থী অনলাইনে সেবা পাবে এটি অবশ্যই একটি প্রশ্নের বিষয়।
[৪] তিনি বলেন, দেশের ১৭ কোটি নাগরিককে সেবা দেয়ার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থার সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান দেশের প্রায় ১৬ কোটি সিম সক্রিয় রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি। তার মধ্যে মুঠোফোনভিত্তিক ব্যবহাকারীর সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ২৫ লাখ বাকিরা ব্রডব্যান্ড ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। দেশের অধিকাংশ নাগরিকের হাতেই স্মার্টফোন নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ৫০ শতাংশ নাগরিক অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত।
[৫] সোমবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :