আব্দুল্লাহ মামুন : [২] মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরােধে মানুষকে ঘরে থাকতে বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে নানা মহল থেকে। রাস্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী। কিন্তু কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল।
[৩] রাজধানীর প্রবেশ মুখগুলোতে করোনা সতর্কতা উপেক্ষা করেই বেড়েছে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রবণতা। নানা অজুহাতেই প্রতিদিন গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, আব্দুল্লাহপুর দিয়ে ঢুকছে ও বের হচ্ছে হাজারো মানুষ। আর রাজধানীর বাজারগুলোতে গেলে বোঝার উপায় নেই দেশে লকডাউন চলছে।
[৪] কিছু লোক প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হলেও অনেকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অপ্রয়োজন কিংবা বিনা প্রয়োজনেই চলাচল করছে। এর একটি বড় অংশ চিকিৎসার কথা বলে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই কোনোভাবেই প্রশাসনও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
[৫] রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা এক সদস্য নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কিছু কিছু অ্যাম্বুলেন্স এখন যাত্রী পারাপার করছে। তবে তিনি জানান, সন্দেহ হলে তারা এসব গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। মানুষের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে তারা কিছুটা ছাড় দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
[৬] রাজধানীর প্রায় প্রতিটি প্রবেশদ্বারেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিংবা নানা বাহানা করে শহরে ঢুকছে মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা তাদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণে তারা পেরে উঠছে না।
[৭] শুরুর দিকে প্রশাসনকে বেশ কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেলেও এখন অনেকটা ঢিলেঢালা। নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ লকডাউনের মধ্যে মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এরপর থেকে পুলিশকে অনেকটা নমনীয় আচরণ করতে দেখা গেছে। তবে বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসীকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিনই জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তি দিচ্ছে।