শিরোনাম
◈ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র নির্দেশেই বাংলাদেশি সন্দেহে ওপারে পুশব্যাক করা হচ্ছে: মমতা ◈ বিশ্বকাপের আগে বাংলা‌দে‌শের আর কোনো ম্যাচ নেই, সবচেয়ে বেশি ভারতের ◈ বিলিয়ন ডলার ঋণে চা‌পে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ ঢাবি শিক্ষক জামাল উদ্দীনকে হেনস্তা ডাকসু নেতার, ধাওয়া করার ভিডিও ভাইরাল ◈ একাত্তর আমাদের শেকড় এর প্রজন্মকে নিকৃষ্ট বলার দুঃসাহস তারা কীভাবে দেখায়: ফখরুল ◈ টানা লোকসান পেরিয়ে মুনাফায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১: অর্ধেক সক্ষমতায়ই আয় বেড়ে স্থিতিশীল হচ্ছে বিএসসিএল ◈ মাহফুজ ও আসিফের বিরুদ্ধে মিছিল, নেতৃত্বে এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির (ভিডিও) ◈ তফসিল ঘোষণার পর ইসির অধীনে যাবে যে সব দায়িত্ব ও ক্ষমতা ◈ যে কারণে এশিয়ার দেশে দেশে ভয়াবহ বন্যা, জানালেন বিজ্ঞানীরা ◈ ‘অপমানিত’ বোধ করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, মেয়াদের অর্ধেকেই পদ ছাড়তে চান: রয়টার্সকে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনাকালে বিএনপি যা করতে পারতো, কিন্তু করেনি

দীপু তৌহিদুল : ১. বিএনপি নেতারা বেগম খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে ত্রাণের জন্য দেশ ও বিদেশে ফান্ড রেইজ প্রচেষ্টা নিতে পারতো, বেগম জিয়া চাইলেই কমপক্ষে একশ কোটি টাকা দেশ-বিদেশ থেকে ত্রাণের জন্য তুলতে পারতো। কিন্তু সেটা করারও কোনো উদ্যোগ তারা নেয়নি। ২. বিএনপির আর্থিক শক্তিশালী নেতারা নিজ নিজ এলাকার দুর্বল মানুষদের আর্থিক সহায়তা দিতে পারতেন, সেটা তারা করেননি। বিএনপি বলতে পারবে না গ্রাসরুট পর্যায়ে তাদের কোনো নেতাকর্মী নেই, যদি অস্বীকার করে তাহলে পাল্টা প্রশ্নটা হবে গাদা গাদা এতো কমিটিগুলো তাহলে কীসের? ৩. বিএনপি বিভাগীয় নেতাদের নিয়ে নিজেদের আলাদা কমিটি গঠন করে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারতো। সেই কমিটি গোটা দেশের করোনার খবর দেওয়ার পাশাপাশি নিজ নিজ বিভাগের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করতে পারতো।
৪. মহামারিতে জনগণের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিএনপির বুদ্ধিদাতা সুশীলরা কাজ করতে পারতেন। বিএনপিপন্থী সুশীল সমাজ ভালো কথা আর সুপথ দেখিয়ে মানুষের ভীতি দূর করার প্রচেষ্টা নিলে কী সমস্যা ছিলো? ৫. প্রেস কনফারেন্সগুলোতে সরকারের দিকে কাদা না ছুড়ে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে যেতে পারতেন, এটা সরকার গ্রহণ না করলেও জনগণ দেখতো তারা কী বলেছে। ৬. বিএনপি নেতারা করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহস যোগাতে পারতো। বিএনপি নেতারা এসব পরিবারকে চিকিৎসক সমন্বয়ে কমিটি করে আলাদা পরামর্শ সেল গঠন করে সাহায্য করতে পারতো।
৭. বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে কর্মী ও সমর্থকদের করোনা আইন মেনে চলায় জনগণকে উৎসাহ যোগাতে পারতো। যারা করোনার সাবধান বাণী প্রচার করতে পারে। তারা কীসের জন্য জনগণকে ঘরে থাকতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে লেকচার দেবে না? ৮. মহামারির সময়টা কোনো দলাদলির নয় বিধায় বিএনপি নিজের উদ্যোগে খাদ্য তৈরি করে গরিব মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা নিতেই পারতো। ৯. বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক অঙ্গ সংগঠন রয়েছে। সেই দলের নেতাদের দিয়ে এলাকাভিত্তিক করোনা থেকে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ভালো দিকগুলো বোঝাতে পারতো। ১০. বিএনপির বয়স্ক নেতারা তাদের দলের তরুণ ও কর্ম উদ্যোগী নেতাদের সামনে দিয়ে নিজেদের পিছিয়ে নিতে পারতেন। এই বয়স্ক নেতারা নিজেরাও মাঠে নামবেন না আবার তরুণ নেতাদের সামনে বাধার দেওয়াল হয়ে থাকবেন, এটা কুরুচির কাজ যারে দেশপ্রেম বলে না। মোদ্দা কথা বিএনপি বাস্তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা ছাড়া আর কোনো কাজ করেনি। অংশবিশেষ। পুরো লেখাটি পড়–ন লেখকের ফেসবুকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়