মাহফুজ নান্টু,কুমিল্লা প্রতিনিধি : [২] জেলায় অভিনব কায়দায় চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি মেম্বারের বিরোদ্ধে। দরিদ্র মানুষের নামে কার্ড করে, নিজে টিপসই বা আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে চাল আত্মসাত করতেন দেবিদ্বার সুবিল ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম।
[৩] অভিযোগকারী গ্রাহকরা জানান, তাদের নামে যে ওএমওস এর কার্ড আছে সেটা তারা জানেন না। গত মঙ্গলবার তাদের হাতে কার্ড তুলে দেন গ্রাম পুলিশ আক্তার হোসেন। বলেন, এখন থেকে তারা ১০ টাকা কেজি চাল পাবেন। ঐ কার্ডে দেখা যায়, ২০১৬ সাল থেকে টিপসই দিয়ে চাল তুলা হয়েছে। টিপসই বা আঙ্গুলের ছাপের বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম পোমকাড়া গ্রামের হত দরিদ্র স্বপন মজুমদার জানান, 'আমার নামে যে কার্ড আছে সেটাই তু জানি না। আমাকে এই কার্ডটা (ওএমএস) দিয়ে গেছে। দেখি ওরা ১৫ টা টিপসই দিয়ে রাখছে'।
[৪] দৈনিক আমাদের কুমিল্লার তদন্তে বেড়িয়ে আসে এমন আরো ১২টি ভুক্তভুগী পরিবারের তথ্য। তারা হলেন, স্বপন মজুমদার, মো শফিকুল ইসলাম, রফিজ, চাঁন মিয়া, কাবিল, খাইরুল, দেলোয়ারা বেগম, ফুল মিয়া, শহীদ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন। তারা জানান, তাদের নামে যে কার্ড আছে এটা তারা জানতেনও না।
[৫] প্রত্যেকের কার্ডে ইউপি মেম্বার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছে। ওএমএস এর কার্ড গুলো যাচাই করে দেখা যায়, প্রত্যেক গ্রাহকের কার্ড ব্যবহার করে চাল তুলা হয়েছে কমপক্ষে ১৩-১৭ বার। যা ২০১৬ সাল থেকো শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত সুবিল ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ' আমার ওয়ার্ডে দুই হাজারের বেশী ভোটার। আমি সবার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হইনি যে সবাই কে ত্রান দিবো। আমার ওয়ার্ডে দরিদ্র বেশি। তাই সবাইকে ত্রান দিতে গিয়ে একজনের নামের কার্ড দিয়ে অন্যজনকে চাল দিতে হয়েছে'। তিনি জানান, এমন ওএমএস- এর ৮০ টি মতো কার্ড রয়েছে তার ওয়ার্ডে।
[৬] এদিকে অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
[৭] উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল সুবিল ইউনিয়নে ওএমএস এর ডিলার ও ৭নং ওয়ার্ড মেম্বারের বিরোদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া, উপজেলায় সকল প্রতিনিধিদের গ্রাহকের হাত কার্ড পৌছে দিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ