আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] সারা বিশ্বজুড়েই ক্ষমতাশালী নেতারা সংবাদকর্মীদের দমন করতে করোনাভাইরাস সঙ্কটকে ব্যবহার করছেন। একটি শীর্ষ গণমাধ্যম ওয়াচডগ এ বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছে, উহানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতেই গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনতা পেলে এটি বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হতো না। সিএনএন, আরএসএফ
[৩] রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডারস-আরএসএফ চীনের সমালোচনা করে বলছে, মহামারীর তথ্য গোপন করার মধ্যে কৃতিত্বের কিছুই নেই। এছাড়াও সাংবাদিকদের সাজা দেয়ার নতুন আইন গ্রহণ করায় হাঙ্গেরিয়ান প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবানেরও তুমুল সমালোচনা করেছে আরএসএফ।
[৪] তাদের অভিযোগ এই মহামারীকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জায়ার বলসানরো গণমাধ্যমকে অবহেলা করছেন। তারা দুজনেই প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের প্রতি ঘৃণাও প্রকাশ করছেন।
[৫] আরএসএফের যুক্তরাজ্য ব্যুরো পরিচালক রেবেকা ভিনসেন্ট সিএনএনকে বলেন, ‘যদি চীনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতো, যদি হুইসেল ব্লোয়ারদের চুপ করিয়ে না দেয়া হতো, সবম্ভবত এই বৈশ্বিক অতিমহামারী হতোই না।’
[৬] ’মাঝামাঝে আপনি তাত্ত্বিতভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারেন। কিন্তু এবার প্রমাণ হলো এটি অনেকটাই ব্যবহারিক। এটা আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের জীবনের উপরেও প্রভাব ফেলে।’
আপনার মতামত লিখুন :