মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে দেশের শিশুখাদ্যের পাশাপাশি ও তাদের ব্যবহিত পণ্যেও। দিশেহারা হয়েছে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
[৩] খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের মুল ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, এখন জাতীয় দূর্যোগ, এ মুর্হতে শিশুদের পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। আগে যে প্যাম্পাস ১,২০০ টাকা বিক্রি হতো এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১,৮০০ টাকায়।
[৪] মগবাজারে শিশুখাদ্য নিতে আসা রফিক জানান, তার ছেলের জন্য ডাক্তারের সাজেশন অনুযাই কয়েটা খাদ্য নিতে হয়। কয়েক দিন আগে যেটা ১,৬০০ টাকায় ক্রয় করেছিলো শুক্রবার সেটা ২,২০০ টাকায় ক্রয় করেছে।
[৫] শিশুখাদ্যের যাতে দাম না বাড়ে এ জন্য শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করে দিয়ে ৪ এপ্রিল সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৬] বাংলাদেশের শিশুখাদ্য আমাদানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাফিসার সভাপতি জেড এম গোলাম বলেন, কোনো দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। তবে কয়েকটা দেশের সঙ্গে নতুন করে কথা হচ্ছে। তারা পণ্য দিবে। তবে এখন আমাদের আর্থিক সামর্থ প্রয়োজন। কারণ এসব পণ্য আপকাশ পথে বিমান যোগে আনতে হবে। যেটা অনেক ব্যয়বহুল।
[৭] অন্যদিকে করোনার কারণে কোনো শিশু যাতে খাবার থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের তালিকা তৈরি করে শিশুখাদ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিশুখাদ্য সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে গত ৫ এপ্রিল চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়কে।