সুজন কৈরী : [২] করোনা সংক্রমণ রোধে প্রচার-প্রচারণা চালানোসহ জনসাধারণকে ঘরে রাখা, জীবানুনাশক ছিটানো ও দুঃস্থ ও গরীবদের খাবার দেয়াসহ নানাবিধ কাজ করতে হচ্ছে পুলিশকে। বিভিন্ন সড়কে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম এবং দিন-রাত টহলও দিতে হচ্ছে। করোনা রোগীদের সেবায় কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে পুলিশ।
[৩] ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, স্বাভাবিক কাজের তুলনায় বর্তমানে কাজের চাপ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
[৪] ঝুঁকি এড়াতে ডিএমপির থানাগুলোর মোট ফোর্সকে দুই ভাগ করা হয়েছে। একভাগ একসপ্তাহ করে দায়িত্ব পালন করছেন। আরেকভাগ থানা সংলগ্ন কোনো হোটেল বা স্কুল-কলেজে থাকছেন। সাতদিন পর দায়িত্বপালনকারী সদস্যরা হোটেলে চলে যান এবং হোটেলে থাকা সদস্যরা দায়িত্বে ফিরে আসেন।
[৫] রাজধানীর বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, আমার থানার ফোর্সদের জন্য আফতাব নগরের একটি কলেজে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৬] ডিএমপির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের এডিসি আব্দুল্লা হিল কাফী বলেন, সাতদিন পর দায়িত্ব পালনকারীরা হোটেলে যান। আর হোটেলে থাকা ফোর্সরা দায়িত্ব পালন করেন।
[৭] পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া বলেন, পুলিশ সদস্যদের থাকার জন্য থানা এলাকায় অন্তত ২০টি আবাসিক হোটেলের রুম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
[৮] মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন মোল্লা বলেন, ১০টি হোটেলে থানা পুলিশ ও বাকি ১৫টিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যরা একেকজন একটি কক্ষে থাকছেন। পুলিশ লাইন্স থেকে তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।